রাজশাহী টাইমস ডেক্সঃ
গ্যাং কালচারে নেতাই সর্বেসর্বা। বাকি সদস্যদের কাজ দলনেতার প্রতি সব সময় সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি হুকুম পালন করা। এই চেইন অব কমান্ড ভাঙলে নিজ দলের সদস্যদের ওপরও নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। কখনও কখনও মেরে ফেলাও হয়।
তিন দিন আগে রাজধানীর মান্ডায় উল্লেখিত কারণে খুন হন কিশোর হাসান। এই ঘটনায় সাত কিশোর এবং জুরাইনে আরেকটি হত্যা মামলায় আরও সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, জুরাইন কলেজ রোডের নবারুন গলিতে কিলিং মিশনে কয়েক ভাগ হয়ে এগিয়ে চলছে সন্ত্রাসীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাকির হোসেনের বুকে ছুরি চালায় তারা। আঘাত করে পেটেও। তারপর পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনীরা। জাকিরের সঙ্গে থাকা আরেক ব্যক্তিকে গুরুতর জখম করে চলে যায় সকলেই।
কদমতলী থানায় মামলা হওয়ার পর হত্যাকারীদের ধরতে মাঠে নামে গোয়েন্দারাও। একে একে ধরা পড়ে হত্যায় জড়িত সাত জন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে জাকিরকে খুন করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরক্ত উপ-কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) আজহারুল ইসলাম মুকুল বলেন, “নবারুন গলি এবং আশপাশের পূর্ব জুরাইন এলাকায় বিভিন্ন যে অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, এটার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে অপর গ্রুপের দুজনকে তারা হত্যা করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হই।“
এদিকে, মুগদার মান্ডায় তিন দিন আগে ষোলো বছরের হাসান মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে সাত কিশোর। তারা সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ব্যান্ডেজ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। কেবল দলের সিনিয়রদের সালাম না দেয়ার কারণেই ডেকে নেয়া হয় হাসানকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, “যখনি এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটে যদি কোনো বড় ভাই জড়িত থাকে বা কারো ইন্ধনে কোনো ঘটনা ঘটে সেটিও আইনের আমলে আসবে।”
কিশোর গ্যাং কালচার থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে পরিবারকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।