স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী দুর্গাপুর এর দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের নামোদর খালি গ্রামে বউয়ের বড় ভাই সহজ সরল প্রকৃতির লোক হওয়ার সুবাদে রুবেল (২৮) তার ভাবির বিবাহের পর হতেই ভাবির বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই ভাবিকে ধর্ষণ করার হুমকি দিত এবং তাদের ক্ষতি সাধন করার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা চালিয়ে জাচ্ছিল।
এছাড়াও রুবেলের শাশুড়ী ছানোয়ারা বেগম তার স্বামির ওয়ারিস প্রাপ্ত সম্পদ তার সহজ সরল ছেলে মোঃ উজ্জল হোসেন এর নামে লিখে দিলে রুবেল ও তার স্ত্রী তার সহজ সরল ভাইয উজ্জল হোসেনের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয় এবং সর্বদা তাদের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বিরোধের জেরে আপন ভাইয়ের স্ত্রী কে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ননদের স্বামী ও ননদ দেশীয় অস্ত্র (ছ্যানদা) ও লাঠি হাতে বাড়ির ভিতরে হত্যার উদ্দেশ্যে গমন করে ননদ লিপি খাতুন (২৪) ও স্বামী রুবেল (২৮) ।
ঘটনাটি ঘটে ১৮ আগষ্ট ২০২১ বুধবার আনুমানিক সকাল ৯.৪০ মি। ফাঁকা বাড়িতে কেউ না থাকায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ননদ লিপি খাতুন তার ভাবি ইসমাতারা (২৬) কে। এসময় তার ভাবি ইসমা তারা গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার ননদ জামাই রুবেল ইসমাতারার উপর চড়াও হয়ে এক পর্যায়ে ইসমতারার উপরে অতর্কিত হামলা চালায় । রুবেল প্রথমে ছ্যানদা দিয়ে মাথায় কোপ দিলে বাম চোখের উপরে জখম হয়। এর পর লিপি খাতুন চুলের ঝুটি ধরে মাথা ওয়ালের সাথে বার বার ধাক্কা দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে মাথায় ও মুখে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে ইসমা তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং মুখের নিচের মাড়ি থেতলে চোয়াল ভেংগে বেরিয়ে আসে। সে সময় লিপি খাতুন তার হাতে থাকা লাঠির সাহায্যে এলোপাথাড়ি পিটাইয়া মারাত্নক নিলাফুলা ও জখম করে এর ফলে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। ইসমতরা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে লিপি খাতুন পুনরায় ইসমোতারা কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলার ভেতর হাত প্রবেশ করিয়ে কলিজা বের করে আনার চেষ্টা করে।
সকল কর্মকাণ্ডে রুবেলকে সহায়তা করেন তার স্ত্রী লিপি খাতুন। এসময় ইসমা তারার স্বামী মোঃ উজ্জল হোসেন বাড়িতে গোলযোগের কথা শুনে বাড়ির পাশে আসতেই বাড়ির ভেতরে মারামারির শব্দ শুনে ভেতরে ছুটে আসে এসময় ইসমোতারা জ্ঞান হারিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল পরে ইসমোতারা স্বামী তাকে উদ্ধার করে এবং তার জ্ঞান ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এই সুযোগে আসামিরা ইসমাবতারার গলার পরে থাকা স্বর্নের চেন ও কানে থাকা স্বর্নের দুল নিয়ে পালিয়ে যায় ইসমোতারা স্বামী তাকে উদ্ধার করে ইজিবাইক যোগে প্রথমে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে বললে সেখানে নেয়া হয়। ইসমত আরার মাথায় ৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে।মুখের ভেতর নিচের সারির মাড়ি ও চোয়াল ভেংগে বের হবার করনে মুখে অপারেশন করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে ইসমা তারার ছোটো ভাই মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৮) এর কাছে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোনকে কে তার ননদ লিপি খাতুন ও ননদের স্বামী রুবেল হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে ঘটনাটি পারিবারিক সম্পত্তির নিয়ে বিরোধের যেরে। রুবেল পূর্ব থেকে আমার বোনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল এ বিষয়ে আমার বোন রাজি না হওয়ায় পূর্ব থেকেই আমার বোনের উপরে রুবেলের ক্ষোভ ছিল বর্তমানে সম্পত্তির যেরে যখন পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয় তখন রুবেল তার বউ লিপি খাতুন কে উস্কে দিয়ে আমার বোনকে হত্যা চেষ্টা চালায় এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বর্তমানে আমার বোন অসুস্থ রয়েছে আমরা সামনে মামলা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।