রাজশাহী টাইমস ডেক্সঃ
সংঘর্ষ ও খুনাখুনিতে শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনি সংঘর্ষে চার জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ীতে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হক ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
কক্সবাজার সদরের খুরুশকূল ইউনিয়নে গুলিতে একজন মারা গেছেন। ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় একটি কেন্দ্রে।
এদিকে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওর্য়াডের আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মানিকারচর ইউনিয়নে আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট ভোটকেন্দ্রে হামলা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর রামপ্রাসাদের চর কেন্দ্রে হামলার শিকার হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর ভোট কেন্দ্রে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষ মারমুখী অবস্থান নিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ২০টির বেশি পেট্রোল বোমাসহ বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর কেন্দ্রে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলেসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ৬নং রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং অফিসার, ২ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ৫ জন লাঞ্ছিত হয়েছেন। এপর বেলা ১২টা থেকে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
এদিকে, শেরপুর সদরের চরশেরপুরের যোগনীমুড়া লছমনপুরের কুসুমহাটি, ঘিনাপাড়া, হাতি আগলা, কামারিয়ার সূর্যদী, কামারচরের ৬নং চর, চরপক্ষীমারীর জঙ্গলদি, পাকুড়িয়ার চকপাড়া, গণইভরুয়া কেন্দ্রে থেমে থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।
অন্যদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী আনিসুর রহমানসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড গুলি করে পুলিশ।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও চশমা প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সহিংসতায় নৌকা প্রার্থীর ৩ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জের ধামগড় ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে জালভোট মারার অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন।