স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আব্দুস সামাদ ভ্যানগাড়ি প্রতীকে কোনো ভোট পাননি। অর্থাৎ তার নিজের ভোটটিও বাক্সে পড়েনি।
আর আরেক প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য হামিদ তরফদার মাত্র চার ভোট পেয়েছেন। তিনি এবার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণাকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু এ তথ্য জানান।
এ ওয়ার্ডে ৬ জন ইউপি সদস্য পদে অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায়, সাজিদুল ইসলাম তালা প্রতীকে ৭৫১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুর রহমান ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯৩ ভোট। এ ছাড়া মাহতাব উদ্দিন মোরগ প্রতীকে ৩৯৯ ও আব্দুল কাফি মোল্লা ১২১ ভোট পেয়েছেন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের ইকড়ি গ্রামের বাসিন্দা জাফর ইকবাল বলেন, ‘একজন প্রার্থী হিসাবে আব্দুস সামাদ তার নিজের, এজেন্টের ও পরিবারের কারও কোনো ভোট পাননি। এমন ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এ বিষয়ে আব্দুস সামাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমান ইউপি সদস্য ও প্রার্থী আব্দুল হামিদ তরফদারের একজন নিকটাত্মীয় জানান, তিনি নির্বাচন থেকে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আব্দুস সামাদ মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার না করে ও নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছেন। এলাকায় তার পোস্টারও চোখে পড়েনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যে কারও অধিকার। আব্দুস সামাদ বৈধ প্রার্থী ছিলেন। তবে তিনি কেন এক ভোটও পাননি তা জানা যায়নি।