আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি নাটোর-৪ আসনে

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন একাংশের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দস বিরোধী সভা করেছেন তারা। তবে এ বিষয়ে শঙ্কিত নন বলে জানিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গুরুদাসপুর পৌর মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী।

সভা শেষে পৌর কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য দেন- গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী মোল্লা, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএস মিজানুর রহমান সুজা, বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন।

তাদের অভিযোগ, বিগত উপজেলা পরিষদ, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি নৌকার প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পকেট কমিটি গঠন করে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন তিনি। দুই উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস।

তারা আরও বলেন, তৃণমূল নেতাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সংকট তৈরির নিমিত্তে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তাই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি নাটোর-৪ আসনের দলীয় ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে তাকে (কুদ্দুস) বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওই নেতারা একাট্টা হয়েছেন। তাদের আশঙ্কা এবার আব্দুল কুদ্দুস নির্বাচনে দাঁড়ালে বিপুল ভোটে পরাজিত হবেন এবং জামানত হারাবেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বলার কিছু নেই। যা হয় হবে। দেশের লোক জানে কে কী করেছে। জেলার ছয় লাখ লোক জানে আমার সম্পর্কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *