ক্ষমতা দেওয়া ও কেড়ে নেওয়ার মালিক আল্লাহ

ক্ষমতা দেওয়া ও কেড়ে নেওয়ার মালিক আল্লাহ

ইসলাম স্পটলাইট

ইসলামীক ডেক্সঃ

আসমানসমূহ ও পৃথিবীসহ সমগ্র বিশ্ব জগতের সর্বময় ক্ষমতার প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা। প্রকৃত রাজত্ব, বাদশাহি ও সম্মান তারই। তিনি যাকে চান সম্মান ও ক্ষমতা দান করেন, যাকে চান ক্ষমতাচ্যুত করেন, অসম্মানিত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الۡمُلۡكِ تُؤۡتِی الۡمُلۡكَ مَنۡ تَشَآءُ وَ تَنۡزِعُ الۡمُلۡكَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَ تُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِكَ الۡخَیۡرُ اِنَّكَ عَلٰی كُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ

বল, ‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’। (সুরা আলে ইমরান: ২৬)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

لِلّٰهِ مُلۡكُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا فِیۡهِنَّ وَ هُوَ عَلٰی كُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
আসমানসমূহ ও জমিন এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তার রাজত্ব আল্লাহরই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সুরা মায়েদা: ১২০)

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে কিছুদিনের জন্য ক্ষমতা পেয়ে অনেকে দাম্ভিক হয়ে ওঠে, নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে। জুলুম-নির্যাতনে মেনে ওঠে। ভুলে যায় যে আল্লাহ অনুগ্রহ করে তাকে ক্ষমতা দান করেছেন। তিনি চাইলে তার ক্ষমতা ছিনিয়েও নিতে পারেন। এক পর্যায়ে যখন আল্লাহর আজাব নেমে আসে, তখন তাদের ভুল ভাঙে। তারা দেখতে পায় আসলে তারা কতটা দুর্বল ও অক্ষম।

জালিম সীমালঙ্ঘন করলে জুলুমের শাস্তি দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। দুনিয়ায় পার পেয়ে গেলেও আখেরাতে জালিমরা কিছুতেই পার পাবে না। আল্লাহ যে জালিমদের কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে গাফেল নন, প্রতিটি জুলুমের শাস্তি আখেরাতে ভোগ করতে হবে- তা ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ مُهۡطِعِیۡنَ مُقۡنِعِیۡ رُءُوۡسِهِمۡ لَا یَرۡتَدُّ اِلَیۡهِمۡ طَرۡفُهُمۡ وَ اَفۡـِٕدَتُهُمۡ هَوَآءٌ

আর জালিমরা যা করছে, আল্লাহকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে করো না, আল্লাহ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন ওই দিন পর্যন্ত যে দিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। তারা মাথা তুলে দৌড়াতে থাকবে, তাদের দৃষ্টি নিজদের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য। (সুরা ইবরাহিম: ৪২, ৪৩)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *