গজারিয়ায় ইউপি সদস্যের রিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ

গজারিয়ায় ইউপি সদস্যের রিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ

জাতীয়

ওসমান গনি স্টাফ রিপোর্টর:

মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আয়শা আক্তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আপন ভাশুর এর জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে । টেংগারচর ইউনিয়নের আওতাধীন মিরপুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা আক্তার হোসেনের জায়গা জোড়পূর্বক দখল করে টিনশীট দিয়ে বেড়া দিয়ে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার ও তার ছেলে আওলাদ, মুছা মেম্বারসহ ইউনিয়নের অন্য অন্য মেম্বারদের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধ শতাধিক এক দল লোক নিয়ে জোরপূর্বক টিনশীটের বেড়া দিয়ে দিয়েছে তাদের নিজেদের বালি দিয়ে ভরাট করা জায়গার উপর।

জানা যায়, নিজগাঁও মৌজায় ৪৭০ দাগে মোট ৪৪ শতাংশ অন্দরে ২১ শতাংশ ক্রয় করেন ২ ভাই আক্তার হোসেন ও মুক্তার হোসেন নিয়ম অনুযায়ী দুই জনেই সাড়ে ১০ শতাংশ করে বান্টন পাওয়ার কথা কিন্তু সমস্যা বাঁধে জমিটির সামনের অংশ ও পিছনে অংশ দেওয়া নেওয়া নিয়ে। সেই জমি ও বাড়ি নিয়ে আক্তার হোসেন ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার এর স্বামী মুক্তার হোসেন এর মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন যাবত ।

এ নিয়ে স্থানীয় ও ইউনিয়ন পরিষদে একাদিক বার বিচার শালিস হয়েছে এবং দুই পক্ষ থেকে থানায়ও অভিযোগও হয়েছে। এর পরি-প্রেক্ষিতে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসার করার কথা থাকলেও একাধিক বার বিচার শালিসে মীমাংসা না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যেই একটি ক্ষোভ থেকে যায়।

আক্তার হোসেন এর মেয়ে জানায়, আমরা নিরীহ বলে চাচা চাচি এবং চাচতো ভাই বাহিরের লোক এনে দখল করে নিচ্ছেন তাদের দীর্ঘ ৫বছর যাবৎ তিল তিল করে গড়ে তোলা বাড়ির জমিন। তার বাবা সবজি ব্যবসা করে,তার বাবা কষ্ট করে না খেয়ে এ জমিতে বালু ভরাট করে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছিল। এ জমির পাশে একি দাগে তাদের আরো জমি আছে কৃষি জমি।

সেখানে আয়েশা মেম্বারের পরিবার না গিয়ে তাদের বালি ভরট জমি জোরপূর্বক দখল করেছে । তিনি আরও বলেন আয়েশা আক্তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার লোকজনসহ সকল মেম্বারগন তার পক্ষে কাজ করে আমার বাবা সহজ সরল মানুষ বলে আমাদের উপরে জোরজবস্তি করে। তবে ইউপি সদস্য আয়েশা আক্তার জানান আমার স্বামী মুক্তার হোসেন ও আমার ভাসুর আক্তার হোসেনর মধ্যে কথা ছিল তারা যদি জমি কিনে তাহলে একসাথে কিনবে সেই কথা মত একসাথে জমিটি কিনেছে।

তবে এলাকার আরে চার-পাঁচ জনের সামনে আমার ভাসুর ও আমার স্বামীর মধ্যে কথা ছিল বাড়ি দিয়ে আমরা সামনের অংশ নিব আর জমি দিয়ে পিছনের অংশ এ নিয়ে অনেকবার বিচার শালিস হয়েছে। আমার ভাসুর বিচারকদের বিচার মেনে বাসায় এসে তা আবার অস্বীকার করে। অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন এর ছেলে আওলাদ হোসেন জানান, এই জমি নিয়ে বিচার শালিস হওয়ার পরও যখন আমার চাচা আমাদের জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না তখন আমরা থানায় অভিযোগ করি সেই অভিযোগের পর থানায় শালিস হয়। আমাদের উত্তর পাশে জায়গা নেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আমার চাচা আক্তার হোসেন বিচারক সবাইকে কথা দিয়ে আসে।

আমাদের দক্ষিণ পাশে জায়গাটি বুঝিয়ে দিবে এবং তার ভরাট করা বালির যে অর্থ খরচ হয়েছে তা আমরা ফেরত দিব । সে যে কথা দিয়ে আসছে সেই কথা মতই আমরা জায়গা দখল করেছি দক্ষিণ পাশে। দুই পক্ষ এক সাথে বসে জমি দেওয়া নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে আওলাদ হোসেন বলেন আমার চাচার পরিবারকে জানানো হয়েছিল তাঁরা কেউ ছিল না তবে চাঁচি উপস্থিতিতি ছিল।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী আক্তার হোসেন জানান আমার ভাই মুক্তার হোসেনের সাথে কথা ছিল বাড়ি দিয়ে সামনের অংশ সে নিবে এবং আমাদের দুই ভাইয়ের কিনা সম্পত্তি দিয়ে সামনের অংশ আমি নেব। কিন্তু আমি নিরীহ বলে আমার ভাইয়ের ছেলে ও তার স্ত্রী আয়েশা মেম্বার জোরপূর্বক আমার দীর্ঘ দিন যাবত ২১ শতাংশের সাড়ে ১০ শতাংশ বালি দিয়া ভরাট করা গাছপালা লাগিয়ে ভোগ দখল করে আসছি তবে সে যায়গা জোর করে দখল করে নিয়েছে আয়েশা মেম্বার।

আমি আমার জায়গা ফেরত নিতে আইনের আশ্রয় নিব। এবং মুক্তার হোসেনের ছেলে আওলাদ ও তার স্ত্রী আয়েশা মেম্বার যা অভিযোগ করেছে আমার নামে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *