গরিবদের আরো ভালোভাবে সহায়তা করতে ইউপি নির্বাচন করতে চান রাহিমা বেগম

গরিবদের আরো ভালোভাবে সহায়তা করতে ইউপি নির্বাচন করতে চান রাহিমা বেগম

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে বইছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া, পাশাপাশি কোথাও কোথাও চলছে ইউপি ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেরও গুঞ্জন। অনেকেই পেতে চাইছেন স্হানীয় নেতা কর্মীদের সান্নিধ্য। জন সমর্থনে কেউ এগিয়ে আবার কেউ রয়েছেন পিছিয়ে।

নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক না হতেই এখন থেকেই অনেকে ভোটে জয়লাভ করতে নানান রকম ভাবে সাধারণ মানুষের নিকট যাচ্ছেন। সহায়তাও করছেন অনেকভাবে।

তাদের মধ্যে তেমনি একজন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার, ধোপাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী রাহিমা বেগম। নিজের সাধ্য অনুযায়ী তিনিও গরিব-দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য খাবার সহ শীত বস্ত্র ও নানান ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সবার মাঝে জানিয়ে দিচ্ছেন আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের, মহিলা সাধারণ সদস্য মেম্বার পদপ্রার্থী হবেন। এতে করে দেখাও যাচ্ছে তার পাশে গ্রামের অনেক মানুষের আনাগোনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাহিমা বেগম তিনিও খুব একটা বড়লোক নয় তবুও সাধারণ মানুষের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা থেকে এই কাজগুলো করছেন। নিজ গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষরা এসে রাহিমা বেগমের সাথে দেখা করছেন। কথা বলছেন নানান রকম।

এ বিষয়ে রাহিমা বেগমের স্বামী বাদশা মিয়া বলেন, আসলে আমরা বড়লোক নই। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক আগে থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদেরকে অনেকেই বলছেন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে পদপ্রার্থী হবার জন্য।

এদিকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় রাহিমা বেগমের সাথে আর তিনি বলছেন, নির্বাচনে আসার আমাদের বাসার কারো কোন ইচ্ছে ছিল না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পারি মানুষের জন্য সেটা করার চেষ্টা করি। এখন অনেকেই মনে করছেন আমি যদি মেম্বার হই তাহলে তাদের উপকার হবে। তখন হয়তো তাদেরকে একটু বেশি করে সহায়তা করতে পারব। পরে ভেবে দেখলাম যদি মেম্বার হই তাহলে আসলেই মানুষকে আরেকটু ভালোভাবে আমরা সাহায্য সহায়তা করতে পারব।

এসবের পাশাপাশি খোঁজ নিয়ে আরো দেখা গেছে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষরা রাহিমা বেগমকে স্থানীয় ওই গ্রাম থেকে মেম্বার হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন। তবে এতোটুকু বোঝা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত আসনে তিনি এবার প্রার্থী হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *