জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি

জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শান্তির বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি

রাজশাহী

বাগমারা প্রতিনিধি:

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থ বারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিন বারের সফল সংসদ সদস্য আধুনিক, শান্তিপূর্ণ ও আলোকিত বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। পরপর তিন বার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার তাকে নৌকা দেয়া হয়নি। নৌকা না পেলেও বাগমারার আপামর জনগণের ভালোবাসা আর সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন তিনি। এরই মধ্যে জনসমর্থন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগ মুহুর্তে বাগমারার হাজার হাজার জনগণ ছুটে আছে মিছিল নিয়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ যেন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। প্রতীক নয় ব্যক্তিকে ভালোবেসে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পাশে ছুটে আসেন তারা। হাজারো কর্মী-সমর্থক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাগমারা উপজেলা। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। সে সময় বাগমারা ছিল অন্ধকার জনপদ। মানুষ চাইলেও দিনের বেলাতেও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারতো না। সেই সময়ের রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদকে শান্তি আর উন্নয়নের বাসভ‚মি হিসেবে গড়ে তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দীর্ঘ ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করেছেন। সেই সাথে রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ণ, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিশ্চিত করেছেন। সকলের সম্মিলিত ও সার্বিক প্রচেষ্টায় বাগমারা আজ রক্তাক্ত অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে।

বাগমারা উপজেলা এখন জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। সেই শান্তির বাগমারাকে রক্তাক্ত করতে আবারও একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। বাগমারার প্রতিটি জনগণ নিরাপদে থাকার পাশাপাশি উন্নয়ন চাইলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রক্ত না শান্তি সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন আপামর জনগণের আস্থার প্রতীক শান্তিময় বাগমারার রুপকার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি অন্ধকার জনপদকে যেভাবে শান্তি আর উন্নয়নের জনপদে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সহ স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ভাবে তুলে ধরা সহ জাতির জনকের অবদানকে স্মৃতিতে অ¤øান করে রাখতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবানীগঞ্জে ছয়তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। স্মৃতি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস। কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পদচারনায় মুখরিত হয়েছে।

শুধু তাই নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে যে ভাবে সফলতা এসেছে শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ
বর্তমান সরকারের আমলে বাগমারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভবানীগঞ্জ কলেজকে সরকারী করণ ও তাহেরপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সালেহা ইমারত কলেজ, বাগমারা কলেজ ও নাসিরগঞ্জ কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীতকরণ, বালানগর ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল পর্যায়ে, তাহেরপুর মাদ্রাসাকে ফাজিল মাদ্রাসায় উন্নীতকরণ। তিন ধাপে মোট ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, ১০টি মাদ্রাসা ভবন, ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সাথে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদ্রাসার নির্মাণ করা ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, ১০৬টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ‘ডিজিটালাইজেশন’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উপজেলায় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিটি ভবন (ডিজিটাল ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার) নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গতি আনতে ২২ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব এবং ১টিতে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রণোদনা কর্মসূচী যেমন বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের বিদ্যালয়মূখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাগমারার বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ ভাগ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়গামী হয়েছে। উপজেলার শিক্ষার হার জেলার সর্Ÿোচ্চ ৭৯ ভাগ এ দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষা খাতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনঃ
বাগমারায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও জনকল্যাণে ২০০৬ সালে নিজ উদ্যোগে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসা ছাড়াও মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে মানব সেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে সংবর্ধনা দিয়ে থাকে। যা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি ও গুনগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করছে। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান করেছে।

কৃষি ক্ষেত্রেঃ
জাতির জনকের কথায় বলতে গেলে বলতে হয় “কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও”। বাগমারায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে ৭৩ হাজার ৬২০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। টাকার অঙ্গে বলতে গেলে সেটার পরিমান ৯১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই সাথে ৫০% ভর্তুকি মূল্যে ১৪টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা এবং ৪% হারে ব্যাংক থেকে মশলা চাষে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। শুধু তাই না একই মেয়াদে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ হাজার কৃষককে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়ার কৃষির উন্নয়নে বারনই এবং ফকিন্নী নদীর ৩০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হচ্ছে। এরফলে সারা বছর নদীর পানি ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

মডেল উপজেলায় রুপান্তরঃ
বাগমারা উপজেলাকে একটি ডিজিটাল মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। বাগমারায় ইতিমধ্যে একটি অত্যাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ও ১৪টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরও ২টি নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। সকল ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার চালুর ফলে গ্রামের কৃষক, মজুর, চাকুরীজীবী সহ সবার জন্য দেশে-বিদেশের সাথে তথ্য আদান-প্রদান সহ সার্বিক যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সেবার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্য দ্রæত এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য সেবা খাতেঃ
দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাগমারায় স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড গৃহীত হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। স¤প্রসারিত কমপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া, ১১ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উপজেলার পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ সকল চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৮০০০ জন দরিদ্র জনসাধারণ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এখন থেকে বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের ঔষুধ পাওয়া যায়। এছাড়াও জরুরী রোগী বহনের জন্য রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।

এছাড়াও, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচী সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে উপজেলাটি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে রেকর্ড স্থাপন করেছে। করোনা চিকিৎসায় এসেছে দেশজুড়া সাফল্য। করোনা চিকিৎসায় অর্জন পরেছে যুগান্তকারী সাফল্য। চিকিৎসকের দক্ষতা আর মানবিক সেবায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে গেছে। করোনার শুরুতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়া হয়েছে চিকিৎসা সেবা।

যোগাযোগ খাতেঃ
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রধান পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাগমারা উপজেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৮ সালের পূর্বে তিনটি ইউনিয়নে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। সেই সাথে পুঁঠিয়া-বাগমারা পাকা রাস্তাকে আন্তঃউপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নত করা হয়েছে। এছাড়ও ১৫৫ কিঃ মিঃ রাস্তা সংস্কার করা হয়। ২৯০ কিঃ মিঃ কাঁচা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকন্ত, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযোগ সাধনে ৩০টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মিত হয়েছে এবং কিছু নতুন ব্রীজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্প্রতি বাগমারার ভবানীগঞ্জ সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করেছেন।

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেঃ
বাগমারায় উন্নয়নের একটি বড় সাফল্য হলো বিদ্যুতায়ণ। বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৮ এর আগে বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ ছিল ১৫ ভাগ এর কম। বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় পরিনত হয়েছে। বাগমারাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় ঘোষণা দিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহীর কাটাখালীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত নর্দান পাওয়ার সল্যুশান হতে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হতেও বাগমারাবাসী সুফল পাচ্ছে।

সমাজসেবা কার্যালয়ঃ
বর্তমান সরকারের আমলে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচীর মাধ্যমে একদিকে জনগনের উন্নয়ন হয়েছে অন্যদিকে নানা কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে । সমাজ এবং দেশের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত মানুষের সেবায় সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে নানামূখী সেবা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা ও বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদান করা হয়েছে যুগে। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, বিধাব, বয়স্ক ও এতিমসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলার ৪১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে বাগমারায় ১৪ হাজার ২৮৮ জন বয়স্ক ব্যক্তিকে বয়স্কভাতা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, ৭ হাজার ৩৩৩ জনকে বিধবাভাতা প্রদান করা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা, ৫ হাজার ১৯ জনকে প্রতিবন্ধীভাতা ১ কোটি ২৩ লাখ, এবং ২০৬ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি ২ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে ২৫০টি, ক্রাচ ১০০টি। ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ২৫০ জনকে দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও আর্থিক সাহায্য ২০ লাখ টাকা।

এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী ৫১টি সংগঠনকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন অনুদান। ১৫টি মাতৃত্বকেন্দ্রের তহবিলে ২২ লাখ ৮০০ হাজার ২০০ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিবন্ধীদের স্ব-নির্ভর করার জন্য ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩০ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার পাঁচটি এতিম খানায় চলতি অর্থ বছরে আট লাখ দশ হাজার অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিগত বছরেও একই হারে অনুদান দেওয়া হয়। একই অর্থ বছরে ১৯টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ২ লাখ ৮ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেছে বর্তমান সরকার।

এছাড়াও উপজেলার ৪৬০ জনের মাাঝে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৬ হাজার ৫ শত টাকার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও বেদে, হরিজন, দলিত জনগোষ্ঠীর ৮৭ জনকে বিশেষ ভাতা, বেদে, হরিজন, দলিত জনগোষ্ঠীর ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সমাজসেবা দপ্তর ১ লাখ ৯ হাজার টাকা বিতরণ করেছে।

এ কর্মসূচির আওতায় বাগমারায় বর্তমানে ২৮ হাজার ৯৮৩ হাজার দুঃস্থ জনগণ সেবা পাচ্ছে যা তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। সমাজের অবহেলীত জনগোষ্ঠীকে যেন কারো কাছে মাথা ছোট করে বাঁচতে না হয় সে জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। এ সকল ব্যক্তিরা যাতে করে সমাজের বোঝা না হয় এবং তারাও যেন সমাজের সম্পদে পরিণত হয় সে লক্ষ্যে সরকারের এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ঃ
গত ১৫ বছর ধরে সরকার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাগমারায় মহিলা বিষয়ক কার্যালয় বিভিন্ন জনসেবামূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে ২০ হাজার ২৭৪ জন গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে তারা নিয়মিত খাদ্য শস্য পেয়ে থাকেন। এছাড়াও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে দরিদ্র ৮ হাজার ৮৮০ জনকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২০১৬ সাল থেকে উপজেলার ২টি পৌর সভায় চালু করা হয়েেেছ ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ও স্বাস্থ্য ক্যাম্প। এতে করে পৌর সভার ২ হাজার ৪২৩ শত জন নারীকে ল্যাকটেটিং মাতার সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।

এসময়ে বাগমারার ১৮৪ জন মহিলাকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ২১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার সমাজের পিছিয়েপড়া মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্প চালু করেছে। এর মাধ্যমে ৮৫০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫৮ টি রেজিষ্টার্ড সমিতির মধ্যে ১৬৭টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা উন্নয়ন সমিতিকে ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪৫২ জনকে এককালীন একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। যাতে নিজ বাড়িতে বসেই তারা উপার্জন করতে পারেন। ১০০ জন আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলাকে ১২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৮টি সেলাই মেশিন।

বিআরডিবিঃ
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে বাগমারা উপজেলায় বৃহৎ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কৃষক সমবায় সমিতি, সদাবিক দল, পল্লী প্রগতি কর্মসূচি দল এবং অ-প্রধান শস্য উৎপাদন দলের কার্যক্রমে ১৭১ সমিতির ৪ হাজার ৪০৬ পুরুষ এবং ২২৭ জন মহিলার মাধ্যমে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ৬ হাজার ৫৮০ জনকে। বিআরডিএর আওতায় কর্মসূচী সমূহ আবর্তক ঋণ কর্মসূচী, সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচী, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচী।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ
বাগমারায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপজেলার বেকার জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব প্রশিক্ষণ ও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। এরফলে উপজেলার হাজার হাজার যুবক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাগমারায় ৫ হাজার ৪৬৩ জন বেকার যুবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে আত্মকর্মী হয়েছেন ২ হাজার ৬৩৫ জন। এছাড়াও ৬৫৭ জনের মাঝে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২ কোটি ৩৩ লাখ ১১ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

আমার বাড়ি আমার খামারঃ
আওয়ামী লীগ সরকারের যুগান্তকারী আবিষ্কার আমার বাড়ি আমার খামার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে জনগণের বাড়ি বাড়ি সরকারের বিভিন্ন সেবা পৌঁছে গেছে। স্বল্পসুদে ঋণ নিয়ে দ্রæত সময়ে স্বাবলম্বি হচ্ছে লোকজন। বাগমারায় বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সমিতির সংখ্যা ৪৬৬টি। এই সমিতির মাধ্যমে উপকারভোগী সদস্যের সংখ্যা ১৭ হাজার ৮৩১ জন। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে মূলত প্রতিজন সদস্য যে পরিমান টাকা সঞ্চয় রাখে ঠিক সমপরিমান টাকা সরকার প্রদান করে। ৬৩ হাজার ৯৫১ প্রকল্পের আওতায় ১২৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকঃ
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে উপজেলার অস্বচ্ছল আনসার সদস্যের মাঝে স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই ঋণের মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বি হচ্ছে। মূলত ২০১৬ সালে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৮০ জনের মাঝে ১১ কোটি ৭৪ লক্ষের অধিক টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বল্প সুদে ১৫৫ জনের মাঝে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।

মৎস্য অফিসঃ
মৎস্য খাতের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মৎস্য খাতের উন্নয়নের ফলে বাগমারায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মৎস্য চাষীর সংখ্যা সেই সাথে পুকুর। বাগমারায় কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালত হয়ে আসছে মাছ চাষ কার্যক্রম। প্রকল্পের মধ্যে চলনবিল উন্নয়ন প্রকল্প, ছড়া বিল উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন প্রকল্প, এনএপিটি-২ প্রকল্প, রাজশাহী বিভাগে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প। মৎস্যজীবীদের আয়বর্ধক বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার। এরই মধ্যে উপজেলা ৬ হাজার জন মৎস্যজীবীর মাঝে ভ্যান, বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন, গরু, ছাগল, সেচ পাম্প ও জাল বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১ হাজার মৎস্যচাষীদের মাঝে প্রদর্শনী খামার স্থাপন, মৎস্য খামার যান্ত্রিকিকরণের লক্ষ্যে ৫টি অ্যারেটর বিতরণ, মৎস্য ও মৎস্যখাদ্য পরিবহণের জন্য ৬টি পিক-আপ ভ্যান বিতরণ। ৩টি মৎস্য খাদ্য তৈরির পিলেট মেশিন বিতরণ, ৫ বিল খনন। বিলের মাঝে নাসার্রী পুকুর খনন ও স্থাপন করা হয়েছে ২৫। সারা বছর মাছ সংরক্ষণের জন্য ১২টি অভয়াশ্যম স্থাপন। ৩টি মৎস্য আড়ৎ উন্নয়ন, খাঁচায় মাছচাষ ১টি। সেই সাথে ৫০০ জনের মাঝে ২০ লাখ টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাগমারায় ১৩ হাজার ৮২০ মেঃ টন মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হচ্ছে ২৩ হাজার ৬৬৮ মেঃ টন। এতে করে উদ্বৃত্ত মাছের পরিমান দাঁড়াচ্ছে ৯ হাজার ৬৪৮ মেঃটন।

সমবায় কার্যালয়ঃ
বাগমারায় সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১০টি ক্যাটাগরিতে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১৯২ টি সমিতি নিবন্ধন নিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি সমিতি সরকারী ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। অন্যগুলো সমিতির লোকজন মিলে নিজেদের উন্নয়নে পরিচালিত করছেন।

জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরঃ
বাগমারায় জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে সুপেয় পানি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াসবøক নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সরকারি ভাবে সাবমার্সিবল প্রদান করা হয়েছে ১৭৩০, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে সাবমার্সিবল দেয়া হয়েছে ১৪০টি, ওয়াসবøক নির্মাণ করা হয়েছে ৩২টি, এরআগে তারাপাম্প ও টিউবওয়েল ও অন্যান্য ৭৬৯টি, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি, কমিউনিটি বেজ ৩০০০ লিটার সাবমার্সিবল পাম্প ১৮টি, ২২০টি প্রাইমারি স্কুলে সাবমার্সিবল পাম্প ও অন্যান্য এবং টয়লেটের রিং ¯øাব ৬০ সেট প্রদান করা হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসঃ
এ সময়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৪ টাকা ব্যয়ে ২২৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও টি, আর প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ২১০ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এজন্য মোট ৫ হাজার ৯৭০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার বাজার মূল্য ৩৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৮ টাকা। একই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১৭ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার ৬৭১ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস হতে নির্মাণ করা হয়েছে ৪১ মিনি ব্রীজ, ৮ কিলোমিটার হেরিং বন্ড রাস্তা। এছাড়াও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার, ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১০০ বান্ডিল। তাছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওয়ায় উপজেলায় ৪৮৭ জন গৃহহীণ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ঃ

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যন্ত এলাকার অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। বাগমারা উপজেলায় বর্তমানে চালু আছে পৌরসভায় ওএমএম কার্যক্রম এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫ টাকা কেজির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী। খাদ্য বান্ধব সর্মসূচীর মাধ্যমে উপজেলায় চাল পাচ্ছে ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এই কর্যক্রমের শুরু থেকে হিসাব করতে গেলে দেখা যায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৫৬ মেঃটনের অধিক চাল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও দুটি পৌরসভায় ১৪ শত জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সাথে পৌরসভায় বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৪০ মেঃটনের অধিক চাল।

আইন শৃংখলা ক্ষেত্রেঃ
রক্তাক্ত জনপদ বাগমারার চিত্র পাল্টে দিতে আইন-শৃংখলা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি থানা কার্যালয়ের পাশাপাশি ৩টি স্থায়ী তদন্ত কেন্দ্র ও ১টি অস্থায়ী তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, জনগণের সুবিধার্থে একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *