ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লাগাতার হয়রানিতে একাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন সাংবাদিক শরীফ আহমেদ

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লাগাতার হয়রানিতে একাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন সাংবাদিক শরীফ আহমেদ

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গ্রাহক হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক, সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রার প্রকাশক, স্ট্রেইন ফিল্ড জিওটেকনিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, আইইবির ফেলো ও বুয়েটের পিএইচডি স্কলার প্রকৌশলী শরীফুল্লাহ আহমেদ পিইঞ্জ।

ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা জানতে চাইলে তিনি প্রমানাদি সহ বিস্তারিত তুলে ধরেন অগ্রযাত্রা’র এ প্রতিবেদকের কাছে। তিনি বলেন- স্ট্রেইন ফিল্ড জিওটেকনিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে সেলারি একাউন্টের বিপরীতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মিরপুর সারকেল ১০ ব্রাঞ্চ থেকে আমাকে একটি ভিসা ডেভিট কার্ড দেওয়া হয়।

গত মার্চ মাসে কার্ডটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পল্লবী শাখায় ভিসা ডেভিট কার্ডের জন্য এপ্লিকেশন দিলাম এপ্রিল মাসের শেষের দিকে।

তারপর মে মাসের শেষের দিকে উক্ত শাখায় যোগাযোগ করলে বল হলো, এপ্লিকেশন হয়নাই। কেন হয়নাই? আপনি কার্ড জমা দেননাই।

তো কার্ড আপনি নেননাই কেন? আমি কি কার্ড আপনার পকেটে দিয়ে আসবো? যাই হোক কার্ডসহ আবার এপ্লিকেশন দিলাম। তার দেড় মাস পর যোগাযোগ করলে বলা হলো উক্ত কার্ডের এপ্লিকেশন করা হয়নাই। গত ২০ জুন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মিরপুর সারকেল ১০ ব্রাঞ্চের ম্যানেজারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সেদিন উক্ত ব্রাঞ্চ থেকে ফোন করে আশ্বস্ত করা হয় যে, আমার এপ্লিকেশনটি আন্ডার প্রসেস আছে।

কার্ড তৈরি হলে আমাকে ফোন করে জানানো হবে। তারপর ১৫ দিন অপেক্ষা করে বেশ কয়েকবার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার পরে ব্রাঞ্চ থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, কার্ডটি ব্রাঞ্চে এসেছে কিন্তু পিন নম্বর আসেনি। তারপর কুরবানি ঈদ চলে আসে। কুরবানী ঈদের পরে আবার হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার পরে জানানো হয়, পিন এখনো আসেনি বিন আসলে জানানো হবে।

বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পরে পিন নম্বর আসে। ব্রাঞ্চ থেকে কার্ড এবং পিন সংগ্রহ করা হয়। প্রদত্ত পিনটি ছিলো ০৫০১ তার পরের দিন বিকেলে উক্ত পিন ব্যবহার করে এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করা হলে কার্ডটি মেশিনে আটকে যায়। ১৫ দিন পরে কার্ড আনতে গিয়ে সঠিক পিন দেওয়ার পরেও কার্ড আটকে যাওয়ার বিষয়টি জানালে বলা হয় পিন নাম্বার ঠিক আছে। পিন দিতে গিয়ে ভুল হয়েছে।

কার্ডটি সংগ্রহ করে এক সপ্তাহ পরে আবার কার্ড থেকে প্রদত্ত পিন ব্যবহার করে টাকা তুলতে গেলে আবার ভুল পিন দেওয়া হয়েছে বলে জানায়। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত মোটামুটি সাড়ে ৩ মাস চলে গেছে। এই দীর্ঘ হয়রানির পর আমার পুনরায় সঠিক পিন সংগ্রহের আবেদন করা ও কার্ডটি আর ব্যবহার করার কোনো ইচ্ছা নাই। তাই উক্ত এ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *