নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশার পারদে নতুন ৫ চ্যালেঞ্জ

নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশার পারদে নতুন ৫ চ্যালেঞ্জ

জাতীয়

রাজশাহী টাইমস ডেক্সঃ

নতুন বছর ঘিরে নানাজন নানা স্বপ্ন দেখে। প্রত্যাশার পারদে যুক্ত হয় নতুন চ্যালেঞ্জও। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এবছর প্রত্যাশা অনেক। চ্যালেঞ্জও বেশি। নির্বাচন নিয়ে দেশের গুমোট পরিস্থিতির অবসান করে অনুকূলে নেওয়ার পাশাপাশি দল ও সরকারে অনেক চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের। দলটির নেতাদের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে তারা নতুন বছরের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন বছরে তাদের বড় চ্যালেঞ্জ প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনী বৈতরণী পার করা এবং এর মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করা। এর বাইরে নির্বাচন পরবর্তী বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা এবং বিদেশি চাপ সামলানোরও চ্যালেঞ্জ আছে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল হিসেবে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলা, মূল্যস্ফীতি কমানো, রিজার্ভের সংকট কাটানো এবং সেবায় দুর্নীতি বন্ধ করাও তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রত্যাশা তো শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা যেসব কাজ করতে পারিনি, সেগুলো করাই চ্যালেঞ্জ। সেগুলো করবো। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অবস্থা আরও পরিবর্তন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

প্রত্যাশা তো শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা যেসব কাজ করতে পারিনি, সেগুলো করাই চ্যালেঞ্জ। সেগুলো করবো। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অবস্থা আরও পরিবর্তন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।- ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নানা রকম ঝ্ঞ্ঝা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেই নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে আমাদের নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচন ঘিরে নানা উৎকণ্ঠা ও সংশয় থাকলেও আমি আশা করি, সরকার পুনর্নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে এবং দেশ জাতির উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জাগো নিউজকে বলেন, ‘নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা হলো- নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। আর নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ হলো- উৎসবমুখর নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’

আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, রিজার্ভ নিয়ে বিপদে না পড়লেও চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম, এগুলো মোকাবিলা করা। এছাড়া বড় দুর্নীতি রোধ করতে পারলেও খুচরা দুর্নীতি তথা নাগরিক সুবিধা বা সেবায় দুর্নীতি বন্ধ করা আমাদের বড় কাজ এখন। যাতে পূর্ণাঙ্গভাবে একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।- মোহাম্মদ আলী আরাফাত

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা স্বপ্নের দুনিয়ায় থাকেন, গুজবে বিশ্বাস করেন, বলেন একটা কিছু হবে- তাদের সেই স্বপ্নের দুনিয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রত্যাশা হলো- সব লোক যাতে বাস্তবটা শোনে এবং বোঝে। আর চ্যালেঞ্জও আছে। মহামারি হলো, যুদ্ধ হলো, বিশ্ব একটা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। আমরা দীর্ঘ ১২ বছর শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে সামাল দিতে পেরেছি। কিন্তু এটার একটা চ্যালেঞ্জ তো আছেই।

‘পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, রিজার্ভ নিয়ে বিপদে না পড়লেও চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম, এগুলো মোকাবিলা করা। এছাড়া বড় দুর্নীতি রোধ করতে পারলেও খুচরা দুর্নীতি তথা নাগরিক সুবিধা বা সেবায় দুর্নীতি বন্ধ করা আমাদের বড় কাজ এখন। যাতে পূর্ণাঙ্গভাবে একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *