প্রেমের টানে চীনা যুবক নাটোরে বিয়ে করলেন ফাতেমাকে

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:

৬ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া বড়বাড়িয়া এলাকার ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয় চীনা নাগরিক লি সি জাংয়ের। ধীরে ধীরে সেই পরিচয় থেকে হয় সম্পর্ক। এরপর সম্পর্ক থেকে রুপ নেয় প্রেমে।পরে চীনা যুবক প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে মুসলিম রীতি মেনে ফাতেমা খাতুনকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নাটোর সদর লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া বড়বাড়িয়া এলাকায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। এ সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী রাখেন এ চীনা যুবক।

৪ নম্বর লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বুধবার(১৯ জুন) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার ৪নম্বর লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামে ফাতেমার বাড়িতে আসেন।

ফাতেমা খাতুন নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।  তিনি নবাব সিরাজ উদ দ্দৌলা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।

চীনা যুবক লি সি জাং (আলী) চীনের সাংহাইয়ের বাসিন্দা এবং তিনি একজন প্লাস্টিক সার্জন বলে জানা গেছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নাটোর সদর উপজেলার লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামে আসেন চীনা যুবক লি সি জাং। এসময় তাকে দেখে ভিড় করেন উচ্ছুক জনতা। এরপর বৃহস্পতিবার প্রেমিকা ফাতেমার বাড়িতে এসে বৌদ্ধ ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করেন।  তারপর পরিবারের সম্মতিক্রমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে মুসলিম রীতি অনুসারে ফাতেমা খাতুনকে বিয়ে করেন। 

ফাতেমা খাতুন বলেন, আমাদের প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। তারপর দুজনের মধ্য সম্পর্কে প্রেমে পরিণিত হয়। সে আমার জন্য বাংলাদেশে আসেন। সে আমাকে ভালোবেসে মুসলিম রীতি মেনে বিয়ে করেছেন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমরা দুজন যেস সুখে সযসার করতে পারি।

চীনা যুবক লি সি জাং (আলী) বলেন, ভালোবেসে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছি। আমি ফাতেমাকে বিয়ে করতে পেরে অনেক খুশি। আমরা সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই। দোয়া করবেন আমাদের জন্য সবাই।

৪ নম্বর লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু  জানান, তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্কের গড়ে উঠে। পরে ওই চীনা যুবক বুধবার
নাটোরে আমাদের ইউনিয়নের আসেন। পরে মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে মুসলিম নিয়ম মেনে ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়েতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নতুন দম্পতির জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *