বাগমারা’য় কথা রাখেননি জনপ্রতিনিধিরা, চাঁদা তুলেই কাঁদা থেকে রক্ষা পেল গ্রামবাসী

রাজশাহী

মিজানুর রহমানঃ

তাঁরা শুধু আশ্বাসই দিয়েছেন কিন্তু গত দুই যুগ পেড়িয়ে গেলেও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার রাস্তাটি পাকাকরণ হয়নি।

কিন্তু রাস্তাটির এতোটাই বেহাল অবস্থা যে চলতি বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়ে তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে ভাঙা ইট বিছিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তোলে।

রবিবার ২৫ আগষ্ট সকাল ৭টা থেকে গ্রামের ২০-২৫ জন লোক মিলে কাজটি শুরু করে। এ সময় তারা পার্শ্ববতী ইটভাটা থেকে ভাঙ্গা ইট কিনে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে হাতুড়ি দিয়ে সমান করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তোলে।

গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলাবক্স প্রামানিক বলেন আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি করে আসছি। কিন্তু বারবার তারা শুধু আশ্বাসই দেয় কিন্তু সংস্কার তো দূরের কথা দেখতেও আসেনা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরা চাঁদা তুলেই রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ নেই।
জানা যায় প্রত্যেকটি মোটরসাইকেল ও ভ্যান গাড়ি মালিক যারা তাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে এবং যারা রাস্তায় চলাচলে করে তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা এছাড়াও ব্যাক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ বেশি চাঁদা দিয়ে মহৎ এই কাজটি করেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রাস্তাটির সংস্কার কাজে ব্যবসায়ী মোঃ আলাবস্ক প্রামানিক ও মোঃ সাহাবুর রহমান শেখ, স্কুল শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন খান, প্রভাষক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রামানিক এবং মোঃ জনি সরদার সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও স্কুল শিক্ষক মোঃ মুন্জুরুল মাঝি, আবুল কালাম খান, সেলেম প্রামানিক, মকুল প্রমানিক, হাফিজ সরদার, আক্কাস মৃধা, মোজাহার খান, আক্তার মৃধা, ছমির খান, নাসির উদ্দিন শেখ, মাহাবুর শেখ, জেলহক মাঝি, জেকের সরদার, ইবরাহীম সরদার, জহুরুল ইসলাম শেখ, মেন্টু প্রাং, জাভেদ প্রাং, সাইফুল সরদার সহ আরো অনেক উপস্থিত থেকে কাজটি সম্পর্ন করেছেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাগমারা এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমান বলেন এটি খুবই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। আমরা নানান সীমাবদ্ধতার কারণে সব কাজ একসাথে করতে পারিনা। তবে বরাদ্দ পেলে কোনাবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *