বাগমারার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সোহেল রানা হিরোইন সহ আটক

রাজশাহী

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি নাপিত সোহেল
৫০ গ্রাম হিরোইন ও ৬ বোতল ফেনসিডিল সহ রাজশাহী জেলা ডিবির হাতে আটক হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার, এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব সনাতন চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ওসি ডিবি জনাব মোঃ আব্দুল হাই, পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) আতিকুর রেজা সরকার সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স এর সহায়তায় ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং ভোরে বাগমারা থানাধীন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেউখালী গ্রামস্থ ঘুসাতলা ব্রীজ এর উপর মাদকদ্রব্য হেরোইন ও ফেন্সিডিল নিজেদের দখলে রেখে ক্রেতার নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকালে ধৃত আসামী

১। মোঃ সোহেল রানা (৩৫) পিতা-মোঃ আবুল কালাম সাং-চেউখালী থানা-বাগমারা জেলা-রাজশাহীকে ৫০ (পঞ্চাশ) গ্রাম হেরোইন ও ০৬ (ছয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার করা হয়। এ সংক্রান্তে ধৃত ও পলাতক আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন।

এই ঘটনার আগে গত বছর ১৪ ই সেপ্টেম্বর বাগমারা থানার পুলিশের তাহেরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র গোপন সংবাদে জানতে পারেন, মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুইজন মাদক কারবারি গোয়ারকান্দি ইউনিয়নের রামরামা এলাকায় মাদক বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিলালুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা এলাকায় অভিযানে যান।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাপিত সোহেল রানা সটকে পড়লেও নাসির উদ্দীন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।নাসির উদ্দিনকে সেই দিন বাগমারা থানায় সোপর্দ করলেও পালিয়ে থাকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নাপিত সোহেল রানা। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে বাহিরে আসেন। তবে গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে আমরা জানতে পারলাম, তাকে জামিন করাতে সহায়তা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা।এই ক্ষমতাশীল দলের নেতাদের ছাত্র ছায়ায় ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন মাদকের গডফাদার।

এর আগে তিনি মূলত ফেন্সিডিল, ইয়াবা বিক্রি করলেও সবচাইতে ভয়ানক মাদক হিরোইনের মত মাদক তিনি এখন বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছেন।

এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলে,এমন ধরনের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি তবে যারা এদের আশ্রয়-ও প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদের বিচার হওয়া দরকার। কারণ আগেও যখন যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মাদক বিক্রয়ের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউ ছাপা হয়েছিল ঠিক তখন তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল যা করা হয়নি। তাই তিনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন মাদকের গডফাদার।

এলাকাবাসীর আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাদক সরবরাহ করে আসছেন সোহেল রানা। তারা গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন,তাহেরপুর পৌরসভা, নলডাঙ্গা,নাটোর সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে আসছেন।মাদক কারবারিদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা ও হয়রানির শিকার হতে হয়। যার কারণে এলাকার লোকজন তাদের ভয়ে মুখ খুলে না।এদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা কেউ আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *