ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হলো শেখ রাসেল দিবস- ২০২৩

ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হলো শেখ রাসেল দিবস- ২০২৩

আন্তর্জাতিক

‘হাকিকুল ইসলাম খোকন, সিনিয়র প্রতিনিধিঃ

শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের একমাত্র দূতাবাসে বাংলাদেশী ও ব্রাজিলীয় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হয়েছে। খবর বাপসনিউজ ।

দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা। দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেলের জীবনভিত্তিক বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

ব্রাজিলে বসবাসরত বাংলাদেশী শিশুরা দূতাবাসের আয়োজনে চিত্রাংকন পর্বে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও শিশুতোষ সাংস্কৃতিক পর্বে ব্রাসিলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু ও দূতাবাস পরিবারের শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

শহিদ শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সাফল্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বাংলাদেশ নামটিকে সমুন্নত রাখার জন্য ব্রাজিলে বসবাসকারী প্রবাসী ভাই-বোনদের অনুরোধ জানান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডকে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিলম্বে হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বে ঘৃণিত হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে এবারের শেখ রাসেল দিবসের উপজীব্য ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- কে সামনে রেখে প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে আজকের বর্তমান প্রজন্মের সন্তানরা শুধু নিজ দেশের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যত কর্ণধার, তাই তাদেরকে অসাম্প্রদায়িকতা, সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব সকলের।

পৃথিবীর সকল শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে ভালোবাসার মাঝে বেড়ে উঠুক- এ প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতার ইতিহাস, ১৫ আগষ্ট-এর ঘৃণিত হত্যাকান্ড সম্বন্ধে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রদূত সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয়া সকল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং তাদের মাঝে পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *