ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা

রাজশাহী

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজার সহ ১৬ টি ইউনিয়ান ও দুটি পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলোতে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। এসব এলাকায় ছোট বড় অনেক বিপনী বিতান রয়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে কেনা কাটার জন্য অস্থায়ী ভাবে নতুন বাজারও গড়ে উঠেছে অনেক এলাকায়।

এদিকে বাগমারার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট। ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট উদ্বোধনের পর হতেই এখানে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হয়েছে কয়েক শত মানুষের কর্মসংস্থান। পাল্টে গেছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। বাগমারাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষ এখন কেনাকাটা করতে আসেন এই নিউমার্কেটে।

এনাগ্রæপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট এখন বাগমারাবাসীর অহংকার। বাগামারার বিভিন্ন এলাকাসহ আশ পাশের এলাকার শত শত মানুষ প্রতিদিন এই মার্কেটে আসছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। নিত্যপণ্যের প্রায় সবকিছুই এখানে মিলছে সুলভ মূল্যে।

ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন তৈরি পোশাক ও কসমেটিক দোকানে কেনাকাটা জমজমাট হয়ে উঠলেও বসে নেই বিভিন্ন টেইলারিং হাউজ। হরদম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন টেইলার্সের কারিগর ও কর্মচারীরা। ইতোমধ্যে অনেক টেইলার্স নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটের এমরান বস্ত্র বিতান, আনন্দ টেইলার্স, ফায়সাল বস্ত্রবিতান, ওয়ারেশ গার্মেন্টস, কমেলা গার্মেন্টস, শাপলা টেইলার্স, হালিমা বস্ত্রালয়, আত্রাই ফ্যাশন, সরদার আভরনী সহ বিভিন্ন দোকান গুলোতে উপছে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলা ক্রেতাদের পাশাপাশি ছোট সোনামনিদের ভিড় লক্ষণীয়।

ঈদ যতই এগিয়ে আসছে বিক্রি ততোই বেড়ে যাচ্ছে। কলেজ ছাত্রী মুসলিমা জানান, মুসলমানদের জন্য অত্যান্ত খুশির দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। একমান রোজা রেখে ঈদে নতুন নতুন পোশাক পরিধান করে সকলে মিলে আনন্দ করবো। পাশাপাশি গরীব দুখিদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তারাও যেন সবার সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে।

আনন্দ টেইলার্সের মালিক আনন্দ কুমার জানান, রোজা কেবল অর্ধেক হচ্ছে তাই ক্রেতার আগমন ঘটতে শুরু করেছে। ঈদের সময় যতো ঘনিয়ে আসবে কেনাকাটা বৃদ্ধি পাবে। এবার তৈরি পোশাকের পাশাপাশি থান কাপড় বেশি বিক্রয় হচ্ছে।

ওয়ারেশ গার্মেন্টসের মালিক ড. ওয়ারেশ আলী বলেন, রোজার শুরুতে তেমন বিক্রয় হয়নি। এখন আগের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। অন্য বছরের মতো এবার পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাইনি। অন্য সময়ের চেয়ে রোজার ঈদে বিক্রয় ভালো হয়। আশা করছি এবারও সেটা হবে।

ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটের ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতর ঘিরে প্রতিটি দোকানে বাহারী পোশাকের সমাহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতা সাধারণ চাহিদা মতো শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের লোকজনের কেনাকাটা করতে পারবেন। সেই সাথে ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও রয়েছে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *