রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বারান্দায় ফাটল, নেই পানির ব্যবস্থা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বারান্দায় ফাটল, নেই পানির ব্যবস্থা

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভূমিহীনদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের বারান্দায় দেখা দিয়েছে ফাটল ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী পাশাপাশি কোথাও কোথাও এখনো করে দেওয়া হয়নি পানির ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে মিলে এসবের সত্যতা। পাশাপাশি দেখা যায় সুবিধা ভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ।

উপজেলার ৫নং ঝালুকা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মাঝারপাড়া এলাকায় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম। সেখানে কাজ শেষ হবার পর ঘর গুলোর বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় ফাটল। পরবর্তীতে সেগুলোতে রিপেয়ারিং করে ঠিক করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলোর রিপেয়ার করার পরও আবার নতুনভাবে দেখা দিচ্ছে ফাটল। বেশ কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও সেখানে ব্যবস্থা করা হয়নি খাবার পানি বা টিউবওয়েলের।

কিন্তু আজ সেখানে ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে চলছে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ। দেরিতে হলেও সেখানকার মানুষেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। উপজেলার পালি বাজার মোড় গুচ্ছগ্রাম। এখানে একটি ঘরের বারান্দায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক রকম ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে ওই বারান্দাটি ঘর থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে।

এখানে শুধু এমন সমস্যা তাই নয়, এখানে কোন বাড়িতেই সরকারিভাবে বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা করে দেওয়া হয়নি পানির ব্যবস্থা বা টিউবওয়েলের ব্যবস্থা। তবে এর মধ্যে কয়েকটি ঘরের বাসিন্দারা অন্য কোনভাবে টাকা সংগ্রহ করে বসিয়ে নিয়েছেন টিউবওয়েল। কিন্তু তাতেও দূর হয়নি সকলের পানির সমস্যা। সেখানকার বাসিন্দারা চাইছেন খুব দ্রুত যেন তাদের পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

এছাড়াও সমস্যা রয়েছে উপজেলার জয় কৃষ্ণপুর এলাকার ওই গুচ্ছগ্রামটিতে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা কেমন আছেন এই বিষয়টি দেখতে চান স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। নানান রকম অভিযোগ তুলে তারা বলছেন তাদের এই সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান করে চান।

এদিকে এই বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুবা আক্তার বলেন, আসলে আমার জানামতে কোথাও এমন ফাটল নেই আর যদি কোথাও এমন ফাটল দেখা দেয় তাহলে ঠিক করে দেওয়া হবে। আর সাবমারসিবল গভীর নলকূপ ওইটা জনস্বাস্থ্য থেকে বসিয়ে দেয়।

আপনারা তাদের সাথে একটু কথা বলে দেখেন। আমি এই বিষয়ে অতটা জানিনা। তবে সরাসরি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বললে ভালো হয়। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সোহেল রানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি বলেন, এই ধরনের কোনো সমস্যা থাকলে তা খুব দ্রুতসময়ে ঠিব করে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *