রাজশাহী-৬ এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয় ও মাইক ভাঙল নৌকা প্রতীকের কর্মীরা

রাজশাহী-৬ এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয় ও মাইক ভাঙল নৌকা প্রতীকের কর্মীরা

রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক এমপি রাহেনুল হকের নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রাহেনুল হকের নির্বাচনী এজেন্ট ও বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে মেরাজুল পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তার অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইউএনও সাইদা খানম বলেন, যে ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করা হবে। তিনি রাজশাহীতে আছেন। কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে।

লিখিত অভিযোগে মেরাজুল উল্লেখ করেন, তিনি রাহেনুল হকের নির্বাচনী এজেন্ট। মঙ্গলবার আনুমানিক বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের সমর্থকেরা চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বামনদিঘায় নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালেকার মোড়ে মসজিদ-সংলগ্ন রাস্তায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁদের প্রচার মাইক ও মাইক বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িতে অবস্থানরত চালক ও প্রচারে নিয়োজিত ব্যক্তিকে লাথি মারা হয়। এতে তাঁদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং কর্মী-সমর্থকেরা আতঙ্কিত হচ্ছেন।

হামলাকারী হিসেবে মেরাজুল পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন। তারা হলেন, শলুয়া ইউনিয়নের শুভ, মো. সোহাগ, মো. টিটুল, মো. বিপুল ও মো. সবুজ। তাদের মধ্যে আবদুল ওয়াদুদ ওরফে শুভ শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

অভিযোগ অস্বীকার করে শুভ বলেন, সন্ধ্যার দিকে নামাজের সময় মাইক বাজানো হচ্ছিল। তখন শুধু বলা হয়েছিল, নামাজ শেষে যেন মাইক বাজানো হয়। এ ছাড়া আর কিছুই হয়নি। সেখানে অনেক মানুষ ছিলেন। তাদের কোনো নির্বাচনী কার্যালয় বা প্রচার মাইক তারা ভাঙচুর করেননি। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ।

রাজশাহী সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভাতেও অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক। সভা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার সমর্থক এক চেয়ারম্যানকে প্রতিপক্ষ বলেছে, সুস্থ শরীরে ফেরত যেতে দেবে না। তার প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা দিয়ে আবার খুলেছে। ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার বাড়িতে বোমা ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এভাবে তো নির্বাচনে আনন্দঘন পরিবেশ থাকবে না। এই বিষয়গুলো তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্তভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *