লোহাগড়ায় নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নাম দিয়ে ২৬শে মার্চের চিঠি ইস্যু করে চাঁদাবাজি

লোহাগড়ায় নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নাম দিয়ে ২৬শে মার্চের চিঠি ইস্যু করে চাঁদাবাজি

জাতীয়

মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার:

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে চিঠি ইস্যু করে মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ২০২৪ উপলক্ষে লোহাগড়া-লক্ষীপাশা বাজারে বিভিন্ন হোটেল ও মিষ্টান্ন ভান্ডার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধ, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে চিঠি বিতরণ করে বাধ্যতামূলক ৪/৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারি মোঃ শরিফুল ইসলাম বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভান্ডার ও হোটেলে গিয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের নাম ইস্যু করা একটি চিঠি দিয়ে বিভিন্ন পরিমানে চাঁদার টাকা দাবি করছেন।

ব্যবসায়ীরা আরো বলছেন, এরকম চাঁদা নিতে আমরা আগে পরে কখনো কোনদিন দেখিনি। কিন্তু এবছর স্বাধীনতা দিবসের কথা বলে আমাদের থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। যা আমাদের সাধ্যের বাইরে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাই? এটা কি সরকারি নির্দেশনা আছে? ব্যবসায়ীর আরো বলেন, আমরা জানি স্বাধীনতা দিবস আমাদের বাঙালি জাতির অন্যতম একটি দিন।

এবং আমরা যার যতটুকু সাধ্য সেই সাধ্যমত চেষ্টা করি স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে। লক্ষ্মীপাশা বাজারের সুস্বাদু হোটেলের মালিক, সনাতন কুমার কুন্ডু, রোউফ মিষ্টান্ন ভান্ডরের মালিক নিজাম উদ্দিন শেখ , মোল্লা সুইটসের মালিক, মোহাম্মদ মনির আহমেদ,ও মুসলিম সুইটসে্র মালিক, মোঃ মফিদুল ইসলাম,থানার সামনে অবস্থিত বগুড়া দই ঘর ও হাজী বিরিয়ানি হাউজের মালিক এরা বলেন, এখন রমজান মাস।

এমনিতেই আমাদের বেচাকেনা কম। উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে আমাদেরকে একটা চিঠি দিয়ে জোরপূর্ব টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমরা ব্যবসা করি বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত মোবাইল কোট পরিচালনা করে আমাদেরকে জরিমানা করেন। এ সমস্ত ভয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে আমরা অনেক সময় বাধ্য হই টাকা দিতে।

অথচ এরকম কোন নিয়ম সরকার থেকে নেই বলে আমাদের ধারণা। এ বিষয়ে অফিস সহকারী মোঃ শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছরই আমাদের ২৬ মার্চ বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় চিঠির মাধ্যমে দাওয়াত করতে হয়। সেই দাওয়াতের অংশ ছিল এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোই।

কিন্তু কোন দোকানে বাধ্যতামূলক টাকার কথা বলা হয়নি। বিষয়টি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহান অবগত আছেন বলে ও জানান শরিফুল ইসলাম, এ বিষয়ে লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত শিকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দেয়ার চেষ্টা করব, কিন্তু চিঠি দিয়ে টাকা দিতে বাধ্যতামূলক কাজ করবে এটা বাজার কমিটি মেনে নেবে না।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের চিঠি দিয়ে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে আমার জানা নেই। এরকম কোন নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। আমি শরিফুলের সাথে কথা বলে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *