২শত কোটি টাকার প্রকল্পে গ্রাম থেকে শহর হচ্ছে চারঘাট পৌরসভা - মেয়র একরামুল

২শত কোটি টাকার প্রকল্পে গ্রাম থেকে শহর হচ্ছে চারঘাট পৌরসভা – মেয়র একরামুল

রাজশাহী

আতিকুর রহমান আশা,চারঘাট(রাজশাহী)প্রতিনিধি :

বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় সারাদেশের ন্যায় প্রথম শ্রেনীর চারঘাট পৌরসভায় উন্নয়নে ছোঁয়া বইতে শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় চারঘাট পৌরসভায় উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েছে। সম্প্রতী এই পৌরসভায় কোভিড-১৯, গুরুত্বপূর্ন বাস্তবায়ন প্রকল্প এবং ইউজিপ-৪ প্রকল্পসহ মোট ৩টি প্রকল্প যা, প্রায় ২শত কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। সরকারী এই প্রকল্প দেশের প্রথম ৩টি পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে যার মধ্যে একটি চারঘাট পৌরসভা।

গত ৯জুন ১৯৯৮ সালে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী ১৯৯৯ ইং তারিখ। ২য় নির্বাচন ৬ অক্টোবর ২০০৪ ইং তারিখ, ৩য় নির্বাচন ১লা জানুয়ারী ২০১০, ৪র্থ নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ এবং পঞ্চম নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চম নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন মেয়র একরামুল হক। ২৩ মার্চে শপথ গ্রহণ করেন ।

২৪ তারিখ ক্ষমতা বুঝে নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারীতে ২১ইং তারিখে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক একরামুল হক আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারণে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে চারঘাট পৌরসভার চিত্র।

সেইসঙ্গে বদলে গেছে পৌরবাসীর জীবনমান। রাস্তাঘাট পাকাকরণ-ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়াও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এ পৌরসভায়। উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে পৌরবাসী। বাজেট বাস্তবায়নে মেয়র একরামুল হক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন নিয়মিত।

পৌর মেয়র একরামুল হক নিয়মিত কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। ১৮.৭৩বর্গ কি:মি: নিয়ে প্রথম শ্রেনীর চারঘাট পৌরসভা। যার মোট জনসংখ্যা ৪৯হাজার ৩ শত ৮২জন। এরমধ্যে পুরষ রয়েছেন ১৪হাজার ৯৩জন এবং নারীর সংখ্যা ১৪হাজার ২২জন।

মোট পরিবারের সংখ্যা ৯হাজার ৩শত ৭জন, হোল্ডিং সংখ্যা ৭হাজার ৫৭৫জন, মোট সড়ক ১২৫ কি:মি:, পাকা সড়ক ৮১ কি:মি:, সেমি পাকা ১৮কি:মি:. কাচা সড়ক ২৬ কি:মি:, পাকা ড্রেন ১৮কি:মি:. কাচা ড্রেন ২৩ কি:মি।

অরদিকে এই পৌরসভায় মোট ৫টি কলেজ, কারিগরি কলেজ ১টি, উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ৬টি, বালিকা বিদ্যালয় ২টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১টি, মাদ্রাসা ১টি, হাসপাতাল ২টি, ক্লিনিক ৩টি, ব্রীজ ১টি, কালভার্ট ১৪টি। চারঘাট পৌর মেয়র বলেন, প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি এবং রাজশাহী ক্যাডেট কলেজসহ মোট ২৬টি সরকারী অফিস রয়েছে।

বে-সরকারী অফিস ৮টি,। নিজেস্ব জমির পরিমান .৪৯শতক। এছাড়া তৈল মিল, চাল মিল, আটা মিলসহ বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে এই পৌরসভায়। ঋণগ্রস্থ অবস্থায় চারঘাট পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তিনি চারঘাট পৌরসভাকে ঋণমুক্ত করেন।

যা তার নেতৃত্বের বড় সফলতা। মাদক, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় পৌরসভা গড়তে কাজ শুরু করেন। পৌরবাসীর সুবিধা দেয়ার তাগিদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুঁটে বেড়াচ্ছেন। যার কারনে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প চারঘাট পৌরসভা পাচ্ছে। চারঘাট পৌরবাসী নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ছিল। এখন বদলে গেছে চারঘাট পৌরসভার চিত্র।

চারঘাট পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখানকার নাগরিকরা এখন পাচ্ছেন নাগরিক সুবিধা। পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করছেন। পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাচ্ছে। এলাকার শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন বিতরণ করা হয়েছে।

বাজেটের আগেই পৌর এলাকার জনগণের চাহিদা ও মতামত গ্রহণসহ উন্মুক্ত বাজেট গ্রহণ করা হচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় অবহেলিত চারঘাট পৌরসভার চিত্র পাল্টে গেছে। চারঘাট পৌরসভার সকল বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন যা একটি মাইলফলক ।

নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্করণ হচ্ছে। খাল খনন, ড্রেন নির্মাণ, পৌরসভার সড়ক গুলো আলোকসজ্জা করা হবে। যে সকল কাচা সড়ক রয়েছে সেগুলো পাকা করা হবে। সর্বপরি রাজশাহী সিটির পরে চারঘাটকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করছেন মেয়র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *