হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ শিক্ষক বা শিক্ষিকা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। পিতামাতার পরেই তাদের স্থান। তারা আপনার, আমার সন্তানদের শিখান মানুষ হওয়ার মন্ত্র। কিন্তু এই পেশায় এমন কিছু শিক্ষক বা শিক্ষিকা আছেন, যাদের জন্য অন্যরা লজ্জা পান। পশ্চিমা দেশগুলোতে অহরহ তাদের নৈতিক স্খলনবিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশ পাচ্ছে। সর্বশেষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ জন শিক্ষিকা।
মাত্র দু’দিনের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি যৌন হেনস্থার অভিযোগ। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ মার্কিন পুলিশের।ছাত্রদের সঙ্গে কখনো শারীরিক সম্পর্ক তো, কখনো যৌন হেনস্থা। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগ ওঠায় কড়া পদক্ষেপ নিল মার্কিন পুলিশ।
শারীরিক সম্পর্ক এবং যৌন হেনস্থায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন মুলুকে পড়ে গেছে শোরগোল।অভিযোগ, তারা শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করেছেন। আরও সহজ করে বললে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে ড্যানভিলের ৩৮ বছর বয়সী শিক্ষিকা ইলেন শেল-এর বিরুদ্ধে তৃতীয় ডিগ্রি ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি তিনটি ভিন্ন সময়ে ১৬ বছর বয়সী দুটি বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ আছে।এই সংবাদমাধ্যম বলছে, বয়েল কাউন্টি স্কুলের কর্মকর্তারা শেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সতর্ক করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।খবর বাপসনিউজ ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রদের সাথে যৌন অসদাচরণের অভিযোগে ছয় শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে গত কয়েকদিনে।
দেশটির আরকানসাসের শিক্ষিকা হেদার হ্যারের (৩২) বিরুদ্ধে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরকানসাস টাইমস জানিয়েছে, তিনি একজন কিশোর ছাত্রের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
ওকলাহোমার ২৬ বছর বয়সী নারী শিক্ষক এমিলি হ্যানকককেও বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ একজন ছাত্রের সাথে তার কথিত যৌন সম্পর্কের কথা জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম কোকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সী ছাত্রের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের দায়ে লিঙ্কন কাউন্টির একজন শিক্ষিকাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, শিক্ষিকা এমা ডেলানি হ্যানকক ওয়েলস্টন পাবলিক স্কুলে কর্মরত। তিনি স্কুল ভবনের ভেতরেই ওই ছাত্রের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। এমনকি তারা প্রতিনিয়ত স্ন্যাপচ্যাটেও যোগাযোগ করেছে।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট বলছে, আইওয়ার ডেস মইনেসের একটি ক্যাথলিক হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ক্রিস্টেন গ্যান্ট (36) গত শুক্রবার স্কুলের ভেতরে এক কিশোর ছাত্রের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এছাড়াও এই শিক্ষিকা স্কুলের বাইরে ওই ছাত্রের সাথে অন্তত পাঁচবার যৌনতা লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ফক্সনাউয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেমস ম্যাডিসন হাই স্কুলের শিক্ষিকা আলেহ খেরাদমান্দের (৩৩) বিরুদ্ধেও গত কয়েক মাস ধরে একজন ছাত্রের সাথে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।