আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য ১০৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেট। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ দিয়ে দেশ দুটিকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে ইউক্রেনকে দেওয়ার কথা ছিল ৬ হাজার ১০০ ডলার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত ১০০ সদস্যের সিনেটকক্ষে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ৪৯টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি। উচ্চকক্ষে পাস হতে হলে প্রস্তাবটির পক্ষে কমপক্ষে ৬০ ভোট থাকতে হতো।
![](https://i0.wp.com/rajshahitimes.com/wp-content/uploads/2024/10/Royel.jpg?w=640&ssl=1)
সাবেক ডেমোক্রেট নেতা ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি সেন্ডার্স এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি দলকে গাজায় যুদ্ধ চালাতে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্রস্তাব দিতে চাওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক।
‘সশস্ত্র হামাসের বিরুদ্ধে দমননীতি চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, কিন্তু নিরাপরাধ বেসামরিক গাজাবাসীর ওপর এমন অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালানো কখনোই বৈধতা পেতে পারে না।’
এদিকে, প্রস্তাবটির বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় সিনেটে দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন বলেছিলেন, রিপাবলিকানরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলেছে। ইউক্রেনের তহবিল নিয়ে তারা চরম পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের তহবিল অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকেও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।\
চলতি বছরের ২১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তহবিল চেয়ে কংগ্রেসের কাছে আবেদন পাঠায় হোয়াইট হাউজ। নভেম্বরের শেষ দিকে ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেছিল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। কিন্তু রিপাবলিকানরা সিনেটে সেই প্রস্তাব আটকে দিলো।
সিনেটে বিলটি পাস হতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউক্রেইনে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সামরিক সহায়তা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। তবে বিলটি নিয়ে পুনরায় বিতর্কের জন্য সেটি আলোচনার টেবিলে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এজন্য খুব বেশি সময়ও হাতে নেই। কারণ, কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসে শীতকালীন ছুটি শুরু হবে।
সূত্র: আল জাজিরা