লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ

লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ সংগঠনের কয়েকটি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত কয়েক ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন টার্গেটে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার। 

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা জিবকিন এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া খাইয়াম এবং হুলা এলাকার বেশ কিছু স্থাপণা এবং ওডেইসাহ এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কথাও স্বীকার করেছে ইসিরায়েল।

এর আগে জাতিসংঘে ইরানের মিশন ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যে, উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই যদি ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে তবে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।

সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে লেবাননে হামলা চালানোর অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে তাদের দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। সতর্ক করেছে তুরস্কও।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও তুরস্ক সবাই ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধ আরও প্রসারিত হওয়ার ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এদিকে, লেবাননকে সমর্থন করে তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে একইভাবে লেবাননের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটাকে ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হিসেবে দেখছি।

এদিকে নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত লেবানন ভ্রমণ থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

লেবাননে অবস্থিতি মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লেবানন ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সর্বোচ্চ বিবেচনার কথা আমরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের লেবাননের দক্ষিণ, সিরিয়ার সীমান্ত ও শরণার্থী ক্যাম্পের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এর আগে নিজেদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানায় জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *