লাইফস্টাইল ডেক্সঃ
পুরুষ-নারী নির্বিশেষে যারাই জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির (স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ ভরি বা ৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) মালিক থাকে, তাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
এক পরিবারে একাধিক ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করা ওয়াজিব। বাবা-ছেলে দুজনই সামর্থ্যবান হলে দুজনের পক্ষ থেকে দুটি কোরবানি করতে হবে। বাবা সামর্থ্যবান হলে বাবার পক্ষ থেকে ছেলে সামর্থ্যবান হলে ছেলের পক্ষ থেকে কোরবানি করা ওয়াজিব। বাবার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হলে তা সামর্থ্যবান ছেলের জন্য যথেষ্ট হবে না। ছেলের পক্ষ থেকে কোরবানি করলে তা সামর্থ্যবান বাবার জন্য যথেষ্ট হবে না। বাবা যদি সামর্থ্যবান না হন, তাহলে ছেলে দুটি কোরবানি করলে একটি কোরবানি বাবার নামে দিতে পারে। একটি কোরবানি করলে তা নিজের পক্ষ থেকে করা আবশ্যক।
একইভাবে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই সামর্থ্যবান হলে স্বামী ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করতে হবে। স্বামীর কোরবানি স্ত্রীর জন্য যথেষ্ট হবে না।
ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি ছোট পশু কোরবানির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য আলাদা পশু কোরবানি করতে হবে। উট-গরুর মতো বড় পশু কোরবানি করা হলে এক পশুতে সাত জন পর্যন্ত শরিক হতে পারবে। বাবা- ছেলে দুজনই সামর্থ্যবান হলে তাদের দুজনের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল বা ভেড়া কোরবানি করতে হবে অথবা গরু কোরবানিতে দুটি অংশে শরিক হতে হবে।
এক পরিবারের সাত জন পর্যন্ত সামর্থ্যবান সদস্যের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানি যথেষ্ট হবে।