লাইফস্টাইল ডেক্সঃ
পরিবর্তনশীল ঋতুতে কাশির সমস্যাও বাড়ছে দ্রুত। কাশি একটি ছোট সমস্যা, তবে একটানা খুসখুসে কাশি স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রভাব ফেলে। একইভাবে হাঁপানি রোগীদেরও কাশির সম্মুখীন হতে হয়।
হালকা কাশি সবাই সহ্য করে, তবে কাশি বাড়লে যে কারও অবস্থা খারাপ হতে পারে। কাশি থেকে মুক্তি পেতে আন্টিবায়োটিক কিংবা নানা সিরাপ গ্রহণ করেন কমবেশি সবাই।তবে কাশির জন্য বারবার ওষুধ বা কাশির সিরাপ ব্যবহার ভালো নয়। এগুলোর শরীরে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কাশি ও হাঁপানির উপসর্গ কমাতে প্রাকৃতিক প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন।
কাশির সর্বোত্তম ও সস্তা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা জানিয়েছেন, ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক মিহির খাত্রী। কাশির প্রতিকার আছে আদুসার উদ্ভিদে, যা ভাসাকা নামেও পরিচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই উদ্ভিদ কাশি সারাতে কাজ করে-
এই চিকিৎসক তার ইনস্টাগ্রামে জানান, আদুসা একটি প্রাকৃতিক কাশির সিরাপে মতো। এটি খুসখুসে কাশি ও গলা ব্যথার জন্য উপকারী। এছাড়া সর্দি, কাশি ও ফ্লুর উপসর্গ থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ মেলে এই পাতার রস পান করলে।
কাশি ও হাঁপানির উপসর্গগুলো অনেক অস্বস্তির কারণ হতে পারে, একই সঙ্গে ঘুম ব্যাহত করে ও আপনাকে ক্লান্ত বোধ করতে পারে।
আদুসা উদ্ভিদে এমন উপাদান আছে, যা কাশির কারণে বুকে ভারী হওয়া ও অস্বস্তি কমায়। শুধু তাই নয়, এটি নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আদুসা গাছে পাওয়া বৈশিষ্ট্য কাশিতে উৎপন্ন কফ কমায়। শুধু তাই নয়, এই ওষুধি গাছ হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিস’সহ অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে।
এই চিকিৎসক আরও জানান, কাশি ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণ থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ বা কাশির সিরাপের পরিবর্তে আদুসা পাতার রস পান করতে পারেন।
কীভাবে পান করবেন?
আদুসা পাতার রস তৈরি করতে পাতাগুলোকে পাটায় বেটে বা ব্লেন্ডারে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে পান করুন। সেরা ফলাফলের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে ৫-১০ মিলি লিটার রস পান করতে পারেন।
রস ছাড়াও আদুসা পাতার ক্বাথ তৈরি করতে পারেন। এজন্য একটি পাত্রে চার কাপ পানি গরম করে তাতে পাঁচটি তুলসি পাতা ও দুটি আদুসা পাতা ও আধা চা চামচ গুড় দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮