লাইফস্টাইল ডেক্সঃ
ওজন কমাতে কত কিছুই না করছেন। কঠিন ডায়েট, সেই সঙ্গে কঠোর শারীরিক কসরত। তবে যতই কঠিন ডায়েট করুন না কেন, খাবারের তালিকায় সঠিক পরিমাণে সব পুষ্টি উপাদান রাখতে হবে। সেই তালিকায় প্রোটিন অন্যতম।
ওজন কমাতে গেলে ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়াই যায়। তার থেকেও বেশি জরুরি প্রোটিন। ওয়েট লস ডায়েটে কিছু থাকুক আর না-ই থাকুক, প্রোটিন রাখতেই হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে খেতে হবে লিন প্রোটিন। অর্থাৎ যে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে চর্বি বা ক্যালোরি নেই। লিন প্রোটিন যে কেউ খেতে পারে। এতে বিপাক হার বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমানো সহজ হয়।
চলুন এমন কয়েকটি খাবারের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, সেগুলোতে ভালো ফ্যাটের পরিমাণ বেশি-
মুরগির মাংস
মুরগির মাংস লিন প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ওজন কমানো ডায়েটে আপনি একে রাখতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন মুরগির বুকের মাংস খাওয়ার। ১০০ গ্রাম চিকেনে ৩১ গ্রাম প্রোটিন এবং ক্যালোরি মাত্র ১৬৫ থাকে।
মাছ
পুকুরের মাছ হোক সমুদ্রের, রোজের ডায়েটে রাখলে হৃদরোগের সমস্যা, ওবেসিটির ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ছানা
দুধ না খেলেও ছানা খান। ছানায় কিন্তু প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-এর মতো পুষ্টি পেয়ে যাবেন। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ছানা ভীষণ উপকারী।
গ্রিক ইয়োগার্ট
টক দই আর গ্রিক ইয়োগার্ট কিন্তু এক জিনিস নয়। গ্রিক ইয়োগার্ট অনেক বেশি মসৃণ হয় এবং এতে ফ্যাট থাকে না। তবে গ্রিক ইয়োগার্ট টক দইয়ের মতোই উপকারী। এই খাবারও প্রোটিন, ক্যালশিয়ামে ভরপুর।
ডাল
অনেকেই নিরামিষ খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। মাছ-মাংস খুব একটা খান না। তারা রোজের ডায়েটে ডাল রাখতে পারেন। ডালের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। এই দুই পুষ্টি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিনোয়া
অনেকেরই ওয়েট লস ডায়েটে কিনোয়া থাকে। এই দানাশস্যে ফাইবারের পাশপাশি প্রোটিনও রয়েছে। এই খাবার ৯ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা দেহের নানা কাজে লাগে। নিয়মিত কিনোয়া খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।
সূত্র: হেলথ শটস, এনডিটিভি l