সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা মধ্যনগর-জামালগঞ্জ তাহিরপুর নিয়ে গঠিত ১ সংসদীয় আসন । এ আসনের ভোটাররা মনে করছেন আগামী দ্বাদশ সংসদে নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। আসবে নতুন মুখ। সে হিসেবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মাঠে নেমেছেন। তরুণ, মেধাবী, ব্যবসায়ী হিসেবে ইতিমধ্যে এই আসনে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে পরিচয়-পরিচিতি হয়ে সাড়া ফেলেছেন।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সাধারণ ভোটারদের অভিমত তারা সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন এবং তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত, সৎ, নম্র, ভদ্র মুখ দেখতে চান। যারা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেবেন। এজন্য মাঠেও নেমেছেন এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য ও জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মো: সেলিম আহমদ।
স্থানীয়রা জানান, পর পর তিনবার শেখ হাসিনা যেমন তার সরকার গঠনে নতুন মুখের চমক দেখিয়েছেন। তেমনি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ -১ আসনে নতুন মুখ হিসেবে কাউকে দেবেন। এই আসনে নতুন কেউ বিজয়ী হলে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও বিভিন্ন কাজে আসবে গতির ধারা। সেই হিসেবে নতুনদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় এগিয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মো: সেলিম আহমদ।
সেলিম আহমদ ছোট বেলা থেকে রাজনৈতিক সচেতন। এসএসসি পাশ করার পর সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যয়ন করার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে বিরল দৃষ্টান্ত রাখেন। এছাড়া ছাত্রলীগের পড়াশুনা করার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভূমিকা রাখেন বিএনপি-জামায়াত সরকার হঠানো আন্দোলনেও। সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন সেলিম আহমদ।
সেলিম আহমদ ১৯৭৯ সালের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মো: আমিনুল হক,মাতা নুরজাহান বেগম। সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত সেলিম আহমদ এর ছয় ভাই এক বোন। তার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
সেলিম আহমদ প্রসঙ্গে কথা হয় তাহিরপুর উপজেলার শ্রমিকলীগ নেতা মতিউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়নে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সুনামগঞ্জ -১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। আর এসব আছে তাহিরপুরের সন্তান সেলিম আহমদ এর মধ্যে।
মধ্যনগর উপজেলা এলাকার সাইদুর রহমান জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নতুন ও তরুণরা নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য সেলিম আহমদ মেধাবী, চৌকস, বুদ্ধিমান এবং আগামী দিনের নেতৃত্বে বলিষ্ঠবান। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
কথা হয়, জামালগঞ্জ উপজেলার পলক গ্রামের ইসরাইল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন দেখতে চেয়েছিলাম, তা দেখতে পারিনি। জামালগঞ্জের মানুষ আজ হতাশ। এ কারণে আমরা নতুন প্রার্থী দেখতে চায়। যিনি এলাকার মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকবে। নিয়মিত এলাকায় আসবে। মানুষের সুখ-দুঃখে থাকবে তাকেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চাই।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়, মো: সেলিম আহমদ এর সাথে। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে আমি সব সময় সবার সাথে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার সাথে থাকবো।
নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। যাকে মনোনয়ন দেবে তার নির্বাচন করবো। আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করি তাহলে ধর্মপাশা মধ্যনগর- তাহিরপুর জামালগঞ্জকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এলাকায় বিনোদন ও খেলার মাঠ না থাকার কারণে যুবকেরা মোবাইল নির্ভর হয়ে পড়েছে, এবিষয়টি আমাকে বেশ ভাবায়।
তাই আমার পরিকল্পনা আছে চার উপজেলায় উপযুক্ত খেলার মাঠ তৈরি করা। যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকে। বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সংযুক্ত করা হলে তাদের মন ভালো থাকবে। আধুনিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলে বেকার সমস্যা সমাধান করা হবে। তাই আগামী দিনে দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশ বান্ধব ও ক্লিন পরিবেশের সাথে স্মার্ট চারটি উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য তিনি সকলের কাছে ভালোবাসা, দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।