খুলনা আর্ট একাডেমির ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০% চান্সের নিশ্চয়তা দিয়ে শপথ পাঠ করান চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস

খুলনা আর্ট একাডেমির ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০% চান্সের নিশ্চয়তা দিয়ে শপথ পাঠ করান চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস

জাতীয়

সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন: ৩০৮,শের-এ-বাংলা রোডে অবস্থিত খুলনা আর্ট একাডেমি দীর্ঘ বছর সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পরিচালনা করছেন। সেই সুনাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। খুলনা আর্ট একাডেমির পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস নিজস্ব চিন্তাধারা থেকে তার শিক্ষার্থীদের মেধা অনুযায়ী প্রত্যেকের দিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষ তৈরি করে তোলেন। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমঃপ্লে থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছবি আঁকা। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ভর্তি কোচিং।

সংগীত এবং আবৃত্তির উপরে ক্লাস পরিচালনা করা হয়।২০১০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং পরিচালনা করা হয় ।বাংলাদেশ এবং ভারতের সকল চারুকলায় খুলনা আর্ট একাডেমির শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সুনাম অব্যাহত রাখার জন্য চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের উপরে নানান কৌশল অবলম্বন করেন। যেমন এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তাই শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্টের জন্য একটি শিক্ষামূলক ছোট্ট নাটিকা অভিনয় করার দায়িত্ব দেন ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

সেই সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা আর্ট একাডেমির গর্ব ২০১৪ সালের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রদীপ মন্ডল। বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টস এর উপরে অনার্স মাস্টার্স শেষ করলেন। তিনি ১৩ তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ইংরেজির উপরে একটি ক্লাস নেওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা তার উপস্থিতিতে অভিনয় করেন। স্মার্টফোন ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের কি ক্ষতি হতে পারে এমন একটি বিষয় নিয়ে।বিষয়টা ছিল ননদ আর শিক্ষিতা ভাইয়ের বউয়ের।

পরীক্ষার সময় ভাবী ননদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে এন্ড্রয়েড ফোন বন্ধ রাখার জন্য ।ননদরা এ ব্যাপারে খুব ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন শিক্ষিতা ভাইয়ের বউ তার জীবনের গল্প শুনিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করল। অবশেষে ননদরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিজ্ঞা করেন পরীক্ষার আগে আর এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করবো না।

এমন কথা যখনই বলেন তখনই চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সেই সুযোগে তাদের মুখ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের একই উদ্দেশ্য করে শপথ পাঠ করান আসুন আমরা পরীক্ষার আগে পরীক্ষা সম্পর্কিত তথ্য গুগল ব্যবহার করা ছাড়া অন্য অন্য সার্ভারগুলি ব্যবহার না করি। রিমুভ করে দেই যেমন whatsapp, imo, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম এ ধরনের বিষয় থেকে আমরা বিরত থাকি।

তবে আমাদের সাফল্য স্পর্শ করবে।এমনটা শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে বলায় সে কথা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম youtube চ্যানেল Khulna art academy এবং ফেসবুকে প্রকাশ করেন খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা আর্ট একাডেমির চারুকলা ভর্তি কোচিং এর ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জয়া বৈরাগী, শম্পা মুনি,স্মৃতিকনা মন্ডল, ফাল্গুনী সরদার,সৌহার্দ্য বিশ্বাস প্রমুখ।

নাটকটি দেখে খুলনা আর্ট একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রদীপবাবু নবীনদের প্রশংসা করে এবং সময়োপযোগী নাটকটি করার জন্য ধন্যবাদ জানায় প্রদীপ মন্ডল। শিক্ষার্থীরাও এই নাটকটিতে অংশগ্রহণ করতে পেরে তারাও ধন্যবাদ জানায় খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে।

এই ব্যতিক্রম শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে আমি আহমেদ হোসাইন ছানু আজকালের আলো পত্রিকার সম্পাদক ঢাকা থেকে এই ঘটনাটি অনলাইনে দেখতে পেরে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করি এবং এই ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। এরকম ব্যতিক্রম শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নেয় কিনা আমার জানা নেই।

তবে এই নাটকটি যারা ইউটিউব থেকে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে এটা বলতে পারি।যদি নবীনদের এ ধরনের কার্যক্রম করা হয় ভবিষ্যতে তারা অনেক সুনাম অর্জন করতে পারবে বলে আশা করি আমি আহমেদ হোসাইন ছানু সকল শিক্ষার্থীদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। আপনারা যদি খুলনা আর্ট একাডেমির নির্দেশাবলী মেনে চললে আপনাদের কষ্ট বিফলে যাবে না এটাও আমার বিশ্বাস।

আপনাদের সকলের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল।আমরা সাংবাদিক ভাইয়েরা চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানাই। এরকম অভিনব পদ্ধতিতে নবীনদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য। ভবিষ্যতে আরো শিক্ষামূলক বিষয় শিল্পীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করি।এই শিক্ষামূলক বিষয়টি যদি আপনি দেখতে চান খুলনা আর্ট একাডেমির ইউটিউব চ্যানেলKhulna art academy ভিজিট করুন।

সত্য মিথ্যা আপনারাই জানতে পারবেন সকলের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনায় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। শুভেচ্ছান্তে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খুলনা আর্ট একাডেমি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *