সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন:
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে নিত্য নতুন শাড়ি, জামা-কাপড়, জুতা, প্রসাধনী, জুয়েলারি- গহনা ও চশমা সংগ্রহ করতে আগে ভাগেই শপিং মলগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সব বয়সী নারী ও পুরুষ। ঈদের বাকি আর মাত্র ১-২ দিন। শেষ মুহূর্তে শিশু, মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত ঈদ শপিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
তবে বড় মার্কেটগুলোতে পণ্যের দাম বেশি বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। মধ্যবিত্ত, নিম্নধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা সুরমা মার্কেট মধ্যবাজার সহ ফুটপাতের হকার মার্কেটগুলো থেকে তাদের কেনাকাটা করছেন।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লন্ডন প্লাজা, নেজা শপিং কমপ্লেক্স,জুতা মার্কেট প্রিয়াঙ্গন মার্কেট সহ সেম্পুল, রিচ ম্যান শো-রুম, সবকয়টি মার্কেটে শেষ মুহূর্তে পুরো দমে জমে উঠেছে ঈদের আনন্দ। এবার বড় মার্কেট থেকে হকার পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে শেষের দিকে।
ক্রেতা রহিম রানা বলেন, পরিবার নিয়ে বাজারে আসছি ঈদ শপিং করতে। পছন্দমত কেনাকাটা করেছি। তবে দামটা সাধ্যের চেয়ে একটু বেশি ছিল!
আরেক ক্রেতা মো: আফজাল হোসেন বলেন, লন্ডন প্লাজা থেকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছি। সাধ্যের মধ্যে ভালো কেনাকাটা করতে পেরেছি।
মধ্যবিক্ত ও বেলা বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটাররা বলেন, ক্রেতারা পছন্দ মতো কেনাকাটা করতে পারছেন। আমাদের বেচাকেনাও মোটামুটি ভালো হওয়ায় এখন পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঈদ বাজার।
সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত্ বলেন, এবছর মার্কেটে ছেলে-মেয়েদের হরেক রকম পোশাক, মেয়েদের ব্যবহার্য নানা রকমের প্রসাধনী ও ইমিটেশনের গয়না, রয়েছে জুতাসহ ঈদ বাজারের প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদী। পাশাপাশি ঘুম নেই আমাদের দর্জিদের চোখে ও ফার্নিচারের দোকানে। সকল ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতাদের সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা পোশাকে ও পুলিশ বাহিনীকে বাজারের প্রতিটি মার্কেট ও মোড়ে মোতায়েন রাখা হয়েছে।