নিজস্ব প্রতিবেদক
আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা রূপায়ণ মাঠ এলাকার নারী উত্যক্তকারী ইয়ার হোসেন গং এর কর্মকান্ড ও তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
জানা যায় ইয়ার হোসেন (২০) পিতা মোঃ মোঃ ইমারত হোসেন,আলিফ (১৯) পিতা অজ্ঞাত, মোঃ রাজ্জাক (২২) পিতা অজ্ঞাত, মোঃ লিটন পিতা অজ্ঞাত, সহ আরো অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল প্রায় সময় বিভিন্ন গার্মেন্টস কর্মী ও স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করে থাকেন ।
স্থানীয়দের তথ্য সুত্রে জানা যায় উত্যক্তকারী
দলের প্রধান ইয়ার হোসেন নানা অপকর্মের সাথে জরিত থাকায় একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
তবুও থেমে নেই তার এহেন কর্মকান্ড।তার এমন কর্মেকান্ডে বাধা দেওয়ায় হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন অনেকে।
সর্বশেষ মোসাঃ মাহমুদা (১৭) নামীয় এক গার্মেন্টস কর্মীকে উত্যক্ত করাতে বাধা দেওয়ায় ভুক্তভোগী মাহমুদার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন ইয়ার হোসেন ও তাঁর সাঙ্গু পাঙ্গরা।
হুমকির বিষয় টি মাহমুদার বাবা মুনসুর সরদার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের জানালে গত ১৫।০৪।২৩ ইং মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার সময় জামগড়া বটতলা মর্তুজা হাজীর ভাড়া বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ১৭ বছর বয়সী ওই নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য হামলা চালায়।
এসময় ভুক্তভোগী মাহমুদার বাবা-মা সহ তার ভাই মোতালেব কে বেধড়ক মারপিট করে তারা। এবং মাহমুদার বাবা মুনসুর সরদারের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজন।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী মাহমুদার মা মোসাঃ নাজমা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে, ইয়ার হোসেন, আলিফ, রাজ্জাক, লিটন সহ আরো অজ্ঞাত নামা ককয়েকজন কে আসামি আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার তদন্ত অফিসারের দায়িত্বে আছেন এস আই সুব্রত।
এলাকাবাসী ও আশেপাশের গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা আরও বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় মেয়েদের চলাচল ও বসবাস করা অসম্ভব হয় দাঁড়াবে। এমন অবস্থার দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।