স্টাফ রিপোর্টার:
তাহিরপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ফুফু ও দাদিসহ ৪ জন গুরুতর আহত ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় এক হতদরিদ্র ও নিরিহ পরিবারের জয়গা জোরপূর্বক দখল করে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে বাঁধা দিলে ছকিনা খাতুন(৫৪) ও তারা বানু(৭১) সহ ৪ মহিলাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করাসহ ঘরবাড়ি কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে ঘরের আলমারি থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোকন উদ্দিন (৩০) নামের এক সৌদি প্রবাসীর বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন ও তারা বানুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে অন্য আহতদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত ছকিনা খাতুন উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামের গোলাপ মিয়া স্ত্রী আহত ,তারা বানু একই গ্রামের সিরাজ মিয়া স্ত্রী।
অন্য আহতরা হলেন, একই গ্রামের সখিনার ছেলে বউ রমিজা বেগম(২৬) ও ববিতা বেগম(৩০)। অভিযুক্ত রোকন উদ্দিন(২৩) একই গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ও মৃত শরিফ মিয়ার ছেলে মজলু মিয়া(৫৫) এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ( ৫ মে শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামে।
এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় আহত বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন বাদি হয়ে খাসতাল গ্রামের মৃত শরিফ মিয়ার ছেলে মজলু মিয়া(৫৫) একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে রোকন উদ্দিন(২৩) তার ভাই রাকাব উদ্দিন (১৯) তার মা জয়তারর নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জন অজ্ঞাত করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, খাসতাল গ্রামের রোকন উদ্দিন ও ছকিনা খাতুনের পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাড়ির জায়গায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী চলে আসছিল। পরে সৌদি প্রবাসী রোকন উদ্দিনের বসত বাড়িতে যাতায়াতের কোন জায়গায় না থাকায় বৃদ্ধা ছকিনা খাতুনের ঘরের পাশের সখিনার কিছু পতিত জায়গায় ব্যবহার করে রোকন উদ্দিনের বাড়িতে যাতায়াতের অনুমতি দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসাগণ।
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসাগণ রোকন উদ্দিনকে অনুমতি দেয়ার পর ছকিনা খাতুনের জায়গা দিয়ে বেশ কয়েক বছর রোকন উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে যাওয়া আসা করে ।এরই মধ্যে কিন্তু কিছুদিন পূর্বে রোকন উদ্দিন প্রবাস থেকে বাড়িতে আসে। বৈশাখ মাস থাকায় ছকিনার স্বামী ও ছেলেরা ধান কাটার জন্য অন্যত্র ছেলে যাওয়া আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রোকন উদ্দিন জোরপূর্বক ওই জায়গায় ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় ছকিনা।
এ সময় উত্তেজিত হয়ে রোকন উদ্দিন ও তার চাচা মজলু মিয়া, ভাই লাক মিয়া ও তার মা জয়তারা বেগম দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ও রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে ছকিনার বসত বাড়িতে হামলা করে পিটিয়ে ও ছকিনার ডান ওরাতে রড় দিয়ে ঘা দিয়ে ও কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে গুরুতর আহত করে। এ সময় ছকিনার চিৎকারে তার বৃদ্ধ মা তারা বানু, ছেলে রমিজা বেগম ও ববিতা বেগম এগিয়ে আসলে তাদের কেউ পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এবং এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
পরে স্থানীয়রা ছকিনা ও তার বৃদ্ধ মা তারা বানুকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেয়া হবে।