সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন;
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে দুই প্রাইমারী শিক্ষক মদ পান করার অভিযোগ উঠেছে। মদ পানে সহযোগীতা করায় বাজারের পাহারাদার আকরম আলী (৬০)কে চাকুরী চ্যুত করা হয়েছে।
বণিক সমিতির সদস্য ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানাযায়, শনিবার রাত ৮টায় বাজার বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে ও চিকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোপেশ দাস মদ পান করে। এমন সময় বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন মদ পান করতে দেখে অফিস ঘরে তালা দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার গগণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং এ কাজে সহযোগীতা করার কারনে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে চাকুরী থেকে বিদায় করা হয়।
এ বিষয়ে তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি আশ্বাব উদ্দিন বলেন, সঞ্জয় মাস্টার ও গোপেশ মাস্টার প্রায়শই বণিক সমিতির অফিস ঘরে বসে মদ পান করার অভিযোগ এসেছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে পারিনি। গতকাল শনিবার এশার নামাজ পরে আসার সময় তাদের মদ পান করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের মদ পান করা অবস্থায় তালাবদ্ধ করি। পরে এলাকার গণ্যমান্য লোকদের অনুরোধ ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে শাহেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার দে বলেন, আমারা বণিক সমিতির অফিসে গেলে পাহারাদার আকরম আলী আমাদের কাছে পঞ্চাশ টাকা চায়। আমি থাকে পঞ্চাশ টাকা দেই। সে পঞ্চাশ টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অফিস ঘরে আমি ও গোপেশ মাস্টার বসে গল্প করি। কিছু সময় পরেই কে যেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের ভিতরে রেখে তালা দেয়। মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা মদ পান করিনি। আমাদের মানহানি উদ্দেশ্যে অপপ্রচার মাত্র।
তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মদ পানের বিষয়টি খুবই দঃজনক। দুই জনেই শিক্ষক সম্মানী মানুষ, তাদের সম্মানের কথা ভেবে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা রাখতে তাদের ছেড়ে দেই। তবে দুই মাস্টারের মদ পানে সহযোগীতা করার অভিযোগে বাজারের পাহারাদার আকরম আলীকে রাতেই বিদায় করে দেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।