মোঃ আব্দুল মালেক
নীলফামারী ডোমারে উপজেলার ৪ নং জোড়া বাড়ি ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের শেফালী বেগম ৩০ নামে এক নিখোঁজ মায়ের সন্ধান চায় দুই শিশু সন্তান ও সাম্মী,রুহুল আমিন, ছেলে শাহাদাত /৯/ও আরাফাত /৫/ শনিবার বিকেলে ৫ টার সময় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ী থেকে ডোমারের উদ্দেশ্যে ডাক্তার হাসিনুর রহমানকে দেখানোর কথা বলে বের হয়েছে আজ তিন দিন হয়ে গেলে ওই মা আর বাড়ী ফিরেনি শেফালি বেগম।
শেফালী বেগম ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড হলহলিয়া এলাকার ডাঙ্গাঁপাড়া দীঘির পাড় গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী নিখোঁজ শেফালি বেগমের মা বৃদ্ধ হাজেরা বেগম ৭০ বলেন, শুক্রবার আমার দুই নাতি আরাফাত ও সাহাদাত সুনতে খাৎনা দেওয়া হয়,আমিও সেই অনুষ্ঠানে আগের দিন বৃহস্পতিবারে উপস্থিত ছিলাম শনিবার বিকালে আমার মেয়ে শেফালি আমাকে বলেন তার জ্বর ও পেট জ্বালাপোড়া করছে, আমি ডাক্তার দেখাতে জাবো বিকালে পাঁচটার সময় তার স্বামী রুহুল আমিনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমাকে তার দুই সন্তানের কাছে রেখে বাড়ী থেকে বের হয়ে জায় আমি দুই নাতিকে নিয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে থাকি কিন্তু রাত হয়ে গেলেও মেয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি ঘটনাটি আমি আমার জামাইকে জানাইলে জামাই রুহুল আমিন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে তার স্ত্রী শেফালী বেগমের খোঁজ পায়নি।
শেফালি বেগমের স্বামী রুহুল আমিন বলেন, জ্বর ও পেটজ্বালা পোড়া করছে বলে গত শনিবার বিকেলে হাসিনুর ডাক্তারের কাছে যাবে বলে আমার কাছে ৫শত টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়ীতে সে না ফিরায় আমি ডাঃ হাসিনুর স্যারের দুই চেম্বার ডোমার রেলগেটও বোড়াগাড়ী বাজারে চেম্বারে যাই সেখানে আমার স্ত্রীর দেখা না পেয়ে বাড়ীতে ফিরে দেখি বাড়ীতেও সে আসেনি বড় ছেলে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাহাদাৎ বলেন, মা বিকালে ডাক্তারের কাছে যাবে বলে আমাদেরকে নানীর কাছে রেখে বাড়ী থেকে যায়।তিনদিন হয়ে গেলেও মা আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। দুই ছেলে শাহাদাৎ, ও, আরাফাত, তিনদিন থেকে তাদের মাকে না দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা তাদের মায়ের সন্ধান চান, ও তার স্বামী রুহুল আমিন ও তার সন্ধান চায়, এ বিষয়ে রবিবার ডোমার থানায় বৌয়ের সন্ধান চেয়ে নিখোঁজ গৃহবধু শেফালী বেগমের স্বামী রুহুল আমিন একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার নম্বর-৬৬৫।