মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
জরুরি ভাবে সরকারি এম্বুল্যান্স সেবার কথা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়ালে পোস্টারিং আকারে থাকলেও নেই কোন চালক।এই নিয়ে গুরুতর ভাবে অসুস্থ রোগী ও স্বজনরা পরছেন কঠিন বিরম্বনায় অনেকেই সঠিক সময়ে রোগীকে গন্তব্য স্থানে নিয়ে যেতে না পেরে হারাচ্ছেন পরিবারের উপার্জন কারী ব্যক্তিটি কে।
এবং কি এই নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে ঘটেছে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বাকবিতন্ডা।এমনি চিত্র ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
গত রবিবার সকালে পৌর সভার বাসিন্দা গণেশ বসাক নামে এক ব্যক্তি ডিগ্রি কলেজ গেটে গুরুতর ভাবে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরে নিয়ে যেতে বলে, সে সময় ছাত্রনেতা তামিম হোসেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নেই।
তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তাকে নিয়ে রংপুরে গেছেন।পরে প্রাইভেট এম্বুল্যান্স ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার সময় গুরুতর আহত গণেশ পথিমধ্যে মারা যায়।এর আগে এই নিয়ে আহতের ভাই ভাদ্রু বসাক ও তামিমের সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা-কাটাকাটি হয় জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা:ফিরোজ মাহামুদের সাথে ।
ডা: ফিরোজ মাহামুদের উদ্ধত আচরণ ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে (১২ জুন)সোমবার সকাল ১১ টায় রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতা কর্মী সহ স্থানীয় শ্রমিক নেতাগণ। আর এমও ডাক্তার ফিরোজ আলম এই হাসপাতালে ১২বছর ধরে আছে তিনি নিজেই মাদক সেবন করেন এবং তিনি মাড়ামির রোগীর ভর্তি হলেই ও মামলা হলেই টাকার বিনিময়ে ৩২৬ এর সাটিফিকেট দেন।
এসব কথা বলেন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা সুমন পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তারেক আজিজ, শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান,ছাত্র নেতা তারেক আজিজ, ফারাজুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন হাসপাতালে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা অনেক গুণে বেড়ে গেছে। ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কথা বলা হলেও এম্বুল্যান্স পাচ্ছি না কেন আমরা।আমাদের প্রাইভেট এম্বুল্যান্স নিয়ে রোগিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুরে কোথাও নিয়ে যেতে হয় তাহলে সরকারি এম্বুল্যান্স সরকার কেন দিয়েছেন। আমাদের এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা যদি সঠিক ভাবে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে থাকি তবে গোটা উপজেলা বাসীকে নিয়ে আমারা আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজ মাহমুদের ফোনে একাধিকবার কল করেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে এবিষয়ে জানতে চাইলে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডা: ফিরোজ আলম বলেন, আমার কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পূর্ণ নির্দোষ। সরকার যদি ড্রাইভার না দেয় তাহলে আমরা কোথায় পাবো। আমরা এ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ বার উপর মহলে জানিয়েছি কিন্তু আমরা এখনও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার পাইনি। শুধু আমরাই না আশপাশের কয়েকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাইভার নেই।আমাদের এই সরকারি এম্বুল্যান্স টি যে ড্রাইভার চালাই তিনি মূলত প:প: কর্মকর্তার গাড়ির ড্রাইভার সে সময় পেলে এই এম্বুল্যান্স টা চালাই।