নড়াইলে প্রেমিকের অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক দেখে অভিমানে প্রেমিকার আত্মহত্যা,

জাতীয়

মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার:

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্ৰামের শেখ রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল (অন্তি ) (১৫) ও এক ই গ্ৰামের লিপু সরদারের ছেলে সোয়াইব সরদার(১৭) উভয়ের মধ্যে সুনিবিড় ভালো বাসার জন্ম হয়।

এবং এই ভালোবাসার এক বছরের মধ্যে অন্য মেয়ের সাথে সোয়াইব এর সম্পর্কের কারণে দাড়িয়ে আত্মহত্যা দিয়ে শেষ হলো অন্তির, প্রেমিককে অন্য মেয়েদের সঙ্গে দেখে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো অন্তি, জানা যায় গত ২২ জুন রাতে তার ভালোবাসার মানুষ সোয়াইব সরদার কে মুক্ত করে দিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে, জান্নাতুল মেওয়া অন্তির মার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে জান্নাতুল মেওয়া ( অন্তি) ও সোয়াইব সরদারের মধ্যে ভালো বাসার সম্পর্ক হয়। বেশকিছু দিন আগে তাদের সম্পর্কের মধ্যে কিছু টা অবনতি ঘটলে আমার মেয়ে আত্মহত্যার জন্য চেষ্টা করে খুলনা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রানে বেঁচে যায়।

তিনি আরও বলেন সোয়াইব একজন মাদকাসক্ত ছেলে সে আমার মেয়েকে ছাড়া ও অন্য মেয়েদের কে উত্ত্যক্ত করে।

তখন বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায এছাড়া কিছু দিন পর আমার মেয়ে কে ভালো না লাগাই অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করতে দেখেছে আমার মেয়ে সোয়াইব কে

জান্নাতুল মেওয়া অন্তি ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে পড়ে, এবং সোয়াইব সরদার পাশাপাশি ইতনা কলেজে এইচএসসির ১ম বর্ষের ছাত্র।

ইতনা কলেজের প্রিন্সিপাল অনিন্দ্য কুমারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সোয়াইব ও জান্নাতুল মেওয়া (অন্তি) ওদের ২ জনের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে এলোমেলো অঙ্গ ভঙ্গিতে দেখেছি। আমি ২ জনের গার্জিয়ান কে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এ বিষয় নিয়ে সোয়াইব সর্দারের বাবা লিপু সরদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওদের প্রেম প্রীতির বিয়য় আমি কিছু ই জানি না বলে এড়িয়ে যায়,

এসময় তার কাছে সোয়াইব এর বিষয়ে জানতে চাইছে তিনি তার ছেলে ঢাকায় আছে বলে জানান, কিন্তু সে এলাকায় আছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন, এবং তাকে গত কাল ও দেখেছে তারা,

নাম প্রকাশে কয়েকজন জানান,সোয়াইব এর চাচা বাংলাদেশ পুলিশের একজন উদ্ধতম অফিসার সেই প্রভাবে সোয়াইব এলাকায় বিভিন্ন প্রভাব বিস্তার করে।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাসির উদ্দীন জানান আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা রয়েছে, এবং একটি ইউ, ডি মামলা হয়েছে,এরপর মেয়েদের পক্ষ থেকে অন্য কোন মামলা করলে মাঠে পুলিশ নামবে সত্য উদঘাটনের জন্য। চুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *