শরিফা বেগম শিউলী,স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক এর কক্ষ ভাঙচুরের মিথ্যা অভিযোগ একই কমিটিতে থাকা সহযোদ্ধা ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধ দেওয়া হচ্ছে। এই মর্মে স্নিগ্ধ মেট্রো কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী রাকিবুল হাসান তারেক (২৪) পিতা-মোঃ আবুল কাশেম সাং- কেল্লাবন, থানা- মেট্রো কোতোয়ালি, জেলা- রংপুর।
এর আগেও তারেকের নামে মেট্রো কোতোয়ালি থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছিল। যার জিডি নং- ২২১৫, তারিখ- ৩০-১২-২০২২ ইং ও ১৩৭২, তারিখ- ১৮-০৬-২৩ ইং।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগির মাধ্যমে জানা যায়, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগে তারেক আর আমি একই কমিটিতে ছিলাম। কিন্তু আমি জানিনা, কি কারণে, দীর্ঘদিন থেকে তারেক আমার ক্ষতিসহ মান-সম্মান হানি’র ও হুমকি দিয়ে আসছে।
গত মঙ্গলবার (০৪-০৭-২৩) রাত প্রায় ১১ টার দিকে আমি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান করি। হঠাৎ তারেকের ভাড়া করা অপরিচিত ৫০ থেকে ৬০ জন লোক আমার কাছে এসে হুমকি দিচ্ছে। আমি নাকি তারেকের কক্ষ ভাঙচুর করেছি। তাই আমার হাত পা কেটে দিবে। রংপুরে থাকতে দিবে না। আমি তাদের কথায় কোন সাড়া না দিয়ে, আমার কক্ষে চলে আসি। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হোস্টেল সুপার ডা. আবু হানিফ পাভেল স্যারকে অবগত করি। একই সাথে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবহিত করি।
আমার সংবাদের ভিত্তিতে হোস্টেল সুপার, অধ্যক্ষ ও ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ সদস্যগণ দ্রুত ঘটনা স্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সাংবাদিক এসে ঘটনার বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ওই রাতেই ডিআরবি টিভি ডট লাইভ নামের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি দেখতে পাই যে, তারেক তার কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ আমার নামে দিচ্ছে। আমি নাকি চিহ্নিত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আমার ইয়াবা খাওয়ার ভিডিও নাকি তার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমার নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সম্মানহানি করেছে। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তারেক আমাকে ভুঁইফোড় পরিবারের সন্তান বলছেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য মেট্রো কোতোয়ালি থানার আওতাধীন ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান বলেন, শুনেছি অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগের কপি এখনো আমার হাতে আসেনি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।##