ওমর ফারুক আহম্মদ (জেলা প্রতিনিধি):
নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ সড়কটি বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের সর্ম্পন অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগী সহ সাধারণ জনগণ।
মূল সড়ক থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকার রাস্তাটির দৈর্ঘ্য (৫৮ মিটার) হলেও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেরামত না হওয়ায় পানি জমে রাস্তাটিকে আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় ভরাট কোন খাল।নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকার প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য (৫৮ মিটার)।
তবে আপাতদৃষ্টিতে রাস্তাটি বর্তমানে এখন আর রাস্তা বলে মনে হয় না।হাসপাতালকে কেন্দ্র করে রাস্তাটির দুইপাশে গড়ে ওঠা ঔষধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা রাস্তার দুইপাশে তাদের নিজ নিজ জায়গায় উঁচু করে ভবন নির্মাণ করেছেন। ফলে দু’পাশে গড়ে ওঠা ভবনগুলোর ভিটের তুলনায় রাস্তার অবস্থান অনেকটাই নিচে।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তাটির একটি অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো ভরাট করতে সলিংয়ের উঁচু-নিচু ইটের খোয়া ব্যবহার করাতে আরও বেশি দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।রাস্তাটির ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ৫৮ মিটার সড়কের কোন ধরনের উন্নয়ন বা সংস্কার কোনটাই হয়নি।
রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে যে কোন যানবাহনে চড়ে আসা রোগীদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা।এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের মূল সড়কের পাশে বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত সড়কটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব জায়গা। প্রতিষ্ঠার সময় হাসপাতালটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। (১৯৮৪-৮৫) অর্থ বছরে সড়কটিতে ইটের সলিং ও দুইপাশে আরসিসি খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়।
চলতি বছর এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।হাসপাতালের এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অনেক রোগী যাতায়ত করেন। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে জটিল রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালের মূল গেইটের সামনের অংশ খুবই বিপজ্জনক। রোগী নিয়ে আসা যানবাহন ভাঙ্গা রাস্তায় নেমে বিপদে পড়ে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় কোনরকমে উদ্ধার পায়। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে রোগী-ব্যবসায়ী সকলেই দুর্ভোগে আছে। স্থানীয়রা ইট, বালু দিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করলেও এতে তেমন কাজ হয় না।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। রাস্তার দুরাবস্থার কারণে তাদের খুবই কষ্ট হয়।
জটিল রোগীদের বেশী সমস্যা পোহাতে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অমিত চন্দ্র দে বলেন, রাস্তাটির কোড নম্বর না থাকায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছে না। আশা করছি ঈদের পরপরই এ সংক্রান্ত একটি ফাইল অনুমোদন হবে।