মাটি মামুন রংপুর:
রংপুরের গঙ্গাচড়া লক্ষীটারী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেচে তিস্তা সেতু। সেই তিস্তা সেতুতে গত ৫/ ৬ মাস ধরে সেতুর ৩৭টি বাতির ১টিও জ্বলছে না। রাত নামলেই সেতুটি ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর অপর নির্মিত তিস্তা সেতুর বাতিগুলো পাঁচ
মাস ধরে জ্বলছে না। রাত নামলেই সেতুটি ঘুটঘুটে কারে নিমজ্জিত হয়। এতে প্রায় সময় ছোটখাটো
নুঘটনা ঘটে। গত মাসে রাতে সেতুটিতে দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাতে সেতুর ফুটপা
দিয়ে চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পদচারীরা।
এলাকাবাসী বলছেন, ধীরে ধীরে সেতুটির সব বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি ঠিক করেনি। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে, কয়েক মাস আগে সেতুর বৈদ্যুতিক বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বরাদ না থাকায়
সন্ত্রন হানি। শিগগিরই বাতিগুলো লাগানো হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে এলজিইডির তত্ত্বাবসাে নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
৮৫০ মিটার দীর্ঘ ৯ দশমিক ৬০ মিটার প্রশ্নের সেতুটির দুই পাশে রেলিংসহ পথচারীদের জন দশমিক ৩০ মিটার প্রস্থের ফুটপাত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেতুটি নির্মাণে উহাজার ৩০০ পাঁচ মাস ধরে ৩৭টি বাতির ১টিও জ্বলছে না। পথচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত মাসে রাতে সেতুতে দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। মিটার নদী শাসন করে পাকা বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
সেতুটিতে দুই পাশে মোট ৩৭টি বৈদ্যুতিক বাতি আছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪১০০ কি
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রংপুর ও লালমনিরহাটের কর্ম অসংখ্য মানুষ প্রত সেতুটি নিয়ে চলাচল করেন। পড়ন্ত বিকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেতুর পাশে বাঁধে নিয়ে সময় কাটান। সেতুটি ঘিরে সেখানে বাজারসহ অসংখ্য দোকানপাট গড়ে উঠেছে।
১০ জন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর বাতিগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে ৩৭টি বাড়ির একটিও জ্বলছে না। এখন সন্ধ্যার পর সেতুতে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। বিভিন্ন সময় ছোটমাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে সেতুর মাঝামাঝি জায়গায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল
আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়।
তারা দুজনই এবারের এসএসসি পরীক্ষার দোকানদারদের ভাষা সেতুর ওপরে বাতি ফলে হয়তো তাদের এভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো না। সেতুর দুই প্রান্ত নিচু ও মাঝখানে সেতুর অন্ধকারে। এ কারণে মুখটনা ঘটে। সেতুটির উত্তর মুদিদোকানি মুলু মিয়া সেতুর বাতিগুলো পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে জ্বলছে না। সেতু ওপর ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর দাবি, ৫/৬ মাসে অন্তত ১০টি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বিকেল হলেই লালমনিরহাট ও রংপুরের লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে সেতু ও তিস্তা নদী দেখতে আসেন।
আগে লোকজন রাত পর্যন্ত থাকলে এখন সন্ধ্যার আগেই সবাই চলে যায়। অটোরিকশাচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, সেতুবা দুই দিয়ে গাড়ি উঠল এক অপর প্রান্তে দেখতে পান না। এ কারণে প্রায় সেতু এদিকে এই সেতুতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরে গত রোববার বিকেলে সেতুতে ভারী যান চলাচল বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী
মানববন্ধন করেছেন।u
এলজিইডির মজলুল ইসলাম বলেন, সেতুর বৈদ্যুতিক বাতি আগে নষ্ট হয়েছে। বরাদ না থাকায় এত দিন লাগানো সম্ভব হয়নি। তবে অচিরেই বাহু ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি।