গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের পূর্ব চরপাড়া নামক গ্রামের মৃত জয়নালের মেয়ের জমাতা গার্মেন্টস কর্মী আল আমিন এর স্ত্রী ফরিদা বেগমের গর্ভ হইতে জট লাগানো দুই শিশু কন্যার জন্ম হয়েছে।
জানা গেছে, গত (৩ জুলাই ২০২৩) তারিখ ময়মনসিংহ নেক্সাস হাসপাতালে (সিজারের মাধ্যমে) অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে এই জট লাগানো শিশুর জন্মগ্রহণ করানো হয়। নেক্সাস হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, শিশু দুইটির হার্ড একটি কিন্তু আলাদা দুইটি শিশু।
তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা দেশের বাহিরে উন্নত চিকিৎসা দিলে শিশু দুইটি অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা ভাবে বাঁচানো সম্ভব। শিশু দুটি সুস্থ থাকলেও বিপাকে পড়েছেন মাতা পিতা।
দুটি কন্যা শিশু জট লাগানো হাওয়ায় একসাথে ঘুমাতে হয়, একসাথে খেতে হয় একই বিছানায় শুইতে হয়। শিশু দুটোকে জট থেকে আলাদা করতে হলে অনেক উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।এটা অনেক ব্যয় বহুল চিকিৎসা যা এই পরিবারে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন জট শিশু দুটির পরিবার।
শিশু দুটি জম্মের পর নাম রাখা হয়েছে একজনের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস আরেক জনের নাম ফাতেমা আক্তার। শিশু দুটি জম্মের পর সুস্থ রয়েছেন এবং শিশুর মাও সুস্থ রয়েছেন শুধু বিপাকে পরেছেন চিকিৎসার জন্য। শিশুটির মা ফরিদা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাচ্চা দুটিকে একসাথে কোলে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগী কামনা করছি যাতে আমাকে আর্থিক সহযোগীতা করে দুটি সন্তানকে উন্নত চিকিৎসা করে আলাদা করতে পারি। শিশুটির বাবা আলামিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরকারের কাছে ও এলাকার বৃত্তবান মানুষজনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার দুটি সন্তানের জীবন রক্ষার্থে মানবিক কাজে সবাই সহযোগীতা করুন।
আমার ডাচ্ বাংলা একাউন্ড নাম্বার-০১৯০৪৬১২২৮৭ রকেট নাম্বার-০১৮৫১৭৭৩৯২০ এই নাম্বারে আপনারা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমার জট লাগানো সন্তান দুটোকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবো।