সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজনগরের স্থায়ী বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মক্রম আলীর (মুক্তি নং ০৫০১০৮০১৮২) ভূমি আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোহাম্মদ বাক্কার মিয়া পিতা মৃত তেরা মিয়া, একি গ্রামের বাসিন্দা বাক্কার মিয়ার পুত্র তোফাজ্জল মিয়া, রুপা মিয়া পিতা মৃত মুজিবুর রহমান তাহার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম সর্ব সাকিন ডালারপার, পো:দয়ারবাজার, জেলা সিলেট এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জন তাহার ভূমি জোরপূর্বক অনেকদিন যাবৎ দখল করে আসছেন।
উক্ত বিষয়ে গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বসলেও কোনো সোরাহা না হওয়ার কারনে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মক্রম আলী। বিষয়টি জানতে সরোজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম চেরাগ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।
এই বিষয়ে আরো জানার জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি জানার পরই সহকারী কমিশনার ভূমির মাধ্যমে উনার ভূমি রক্ষা করার জন্য যতাযত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ভোক্তভোগী মামলা করেছেন ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য কিন্তু এখনও আমরা কোর্টের কোনো নির্দেশ পাই নি।
এই আদেশ না পেলেও যেহেতু উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা সেহেতু আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উনার জায়গা রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি । বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন উক্ত বিষয়টি আমরা দেখছি এবং উক্ত জায়গা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য আমরা যতাযত ব্যাবস্তা গ্রহণ করে যাচ্ছি ।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানার জন্য অভিযুক্ত বাক্কার মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং এ ও বলেন এই জায়গা সংক্রান্ত বিষয় তার কোনে সংশ্লিষ্টতা নেই, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আনীত অভিযোগে অভিযুক্ত বাক্কার মিয়ার সরাসরি সম্পৃক্ততা অস্বীকার করা প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা মক্রম আলী বলেন আমি এই ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিদের কাছে অসহায় এবং ভীতসন্তস্ত্র। তাই আমার ভূমি আত্মসাৎ এর দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।