সুনামগঞ্জ থেকে:
তাহিরপুরের বারেকটিলায় কিশোরীকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের অভিযানে এজাহারনামীয় ৪ জন ও তদন্তেপ্রাপ্ত ২ জনসহ মোট ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশের যৌথ অভিযানে বিশম্ভরপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডলুরা এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র শামীম (২৬), মো: আক্কাছ আলীর পুত্র মোঃ হৃদয়(২৩), মথুরকান্দি গ্রামের মো: এমদাদুল হক স্বপনের পুত্র মোঃ সামুয়েল আহমেদ শামু, মো: আক্কাছ আলীর কন্যা মোছাঃ আকলিমা আক্তার রিয়া এবং তদন্তেপ্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মথুরকান্দি গ্রামের মো: রমজান আলীর পুত্র মোঃ আব্দুল আজিজ(২১) একই এলাকার মো: এখলাছ মিয়ার পুত্র মোঃ হৃদয়(১৯)।
আটককৃত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বম্ভপুর থানার ওসি শ্যামল বনিক জানান, তাহিরপুরের বারেকটিলা এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী। তারপর ওই কিশোরীকে রাধানগর পয়েন্ট ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা। এমন খবর পেয়ে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি।
তারপর ওই কিশোরীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তার বান্ধবীসহ ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার মেয়েটি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা গ্রামে তার বান্ধবী রিয়ার বাড়িতে বিয়েতে যায়। ওইদিন রাতে মেয়েটি সেখানে রাতযাপন করে
পরে দিন সোমবার সকালে রিয়ার বড় ভাই হৃদয় মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় একটি বাজারে তার বন্ধু শামুর কসমেটিক্স এর দোকানে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তারা সকাল ১১টায় বাড়িতে ফিরে আসে। এদিন দুপুরে রিয়াদের বাড়িতে এসে কসমেটিক্স দোকানী শামু মেয়েটিকে তাহিরপুরের শিমুল বাগানে বেড়ানোর জন্য বলে।
প্রথমে মেয়েটি যেতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে বান্ধবীর প্ররোচণায় রাজি হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে আসামীরা মেয়েটিকে নিয়ে তাহিরপুরে ঘুরতে বের হয়। তাহিরপুরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বারেক টিলা এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় জোরপূর্বক পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এ সময় তাদের আরেক বন্ধু শামিমকে মোবাইল ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। পরে সেও কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা রাত ৯টার দিকে মেয়েটিকে বান্ধবী রিয়াদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। মেয়েটি বান্ধবী রিয়াকে ধর্ষণের পুরো ঘটনাটি খুলে বললে কাউকে না জানাতে সে নিষেধ করে। এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়।