সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন:
সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী নাজমা খান আরজুর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। বার বার পুলিশের কাছে ধর্না দিয়েও পাচ্ছে না ন্যায় বিচার।
ঘটনাটি ঘটে গত ২রা অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় শাহী ঈদগাহ এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নাজমা খান আরজু’র ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের বাজার করতে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বালুচরস্থ বাসা থেকে রিক্সা যোগে জিন্দাবাজার আসছিল।
প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে এবং বিদ্যুৎ না থাকায় চিনতাইকারীরা উৎপেতে থাকে। শাহী ঈদগাহ থেকে উঠার সময় ময়লার স্তুপের কাছে পৌছা মাত্রই৩ জন ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ফেলে এবং গলায় চাকু ঠেকিয়ে সঙ্গে যা যা ছিল তাই নিয়ে যায় এবং একজন ছিনতাইকারীকে চিনতে পারেন বলে অভিযোগকারী আরজু জানান।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগটি আমলে না নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন আসামীদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বাদীনীকে কোন ধরনের পাত্তাই দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন বাদিনী। বাদীনি নাজমা খান আরজু জানান, সোমবার সন্ধার পর আমি আমার বাসা থেকে জিন্দাবাজারে ভেনাস জুয়েলার্সে আসার জন্য রিক্সা যোগে রওয়ানা দেই।
এ সময় প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলে আশপাশে নির্জন হয়ে পড়ে এবং শাহী ঈদগাহ থেকে উঠনিতে উঠার সময় তিনজন ছিনতাইকারী আমার রিক্সার পথরোধ করে এবং আমার গলায় চাকু ধরে হুমকি দেয় যে, সাথে যা যা আছে সব দিয়ে দিতে। আমি ভয়ে আমার কাছে থাকা একটি ব্যানেটি ব্যাগে ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের বাজারের জন্য নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, আমার গলায় থাকা ২ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও হাতে থাকা আধা ভরি ওজনের একটি স্বর্নের আংটিসহ আমার ব্যানেটি ব্যাগটি ছিনতাই করিয়া নিয়া যায়।
এ সময় আসামীদের সাথে দস্তদস্তি করার সময় আমার বাম হাতের কবজির উপর চাকুর খোছা লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় হঠাৎ আধা বয়সী একজন মানুষ পায়ে হেঠে যাওয়ার সময় আমার সাথে ঘটা বিষয়টি খেয়াল করেন এবং সাথে সাথে ঐ ব্যক্তি আমাকে আসামীদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা করে।
পরে আমি আমার আত্মীয়স্বজনসহ কোন কোন সাক্ষীকে মোবাইল ফোনে জানাই এবং পরদিন ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাই। ঘটনার ২ দিনের মাথায় ফেইসবুকে দেখতে পাই যে, মো: ফয়সল আহমদ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আমার ছিনতাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র পোষ্ট করে এবং বাজে বাজে কমেন্ট করেছিল।
আমার ছিনতাই হওয়া আইডি কার্ডের পোষ্টটি দেখে নিশ্চি হই যে, ছিনতাইকারী মো: ফয়সল আহমদ। আইডি কার্ডটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এ ব্যাপারে থানায় জিডি এন্ট্রি দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমার ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তকতার্দের কাছে অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। তবে মামলার জানিয়েছেন একই বিষয়ে শাহপরান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল মামলা বাদীনি।
তাই বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকতার্দের সাথে আলোচনা করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী মাহমুদ জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।