তাহিরপুর সীমান্তে সোর্সকে গণধৌলাই: চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি

তাহিরপুর সীমান্তে সোর্সকে গণধৌলাই: চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি

জাতীয়

সুনামগঞ্জ থেকে,আমির হোসেন:

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা ও মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা ও মাদক থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামীকে একদিকে গণধৌলাই দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা।

অন্যদিকে বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা জব্দ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ও ম চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা,

জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী লেংড়া জামাল, রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, হযরত আলী, আনোয়ার হোসেন বাবলু, রুবেল মিয়া ও খোকন মিয়াসহ একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্র পৃথক ভাবে ভারত থেকে কয়লাসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য পাচাঁর শুরু করে।

এমতাবস্থায় রাত অনুমান ৮টার সময় চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া সোর্স পরিচয় দিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের পাচাঁরকৃত কয়লা ও মাদকদ্রব্য থেকে সংবাদকর্মী, বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতে গেলে চোরাকারবারী হাফিজ ও তার লোকজন সোর্স রফ মিয়াকে গণধৌলাই দেয়।

এব্যাপারে সোর্স পরিচয়ধারী রফ মিয়া বলেন- চাঁদা নিয়ে আমার সাথে কোন ঘটনা হয়নি। চারাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ী আবুল বাশার খান নয়ন বলেন- রফ মিয়া মূলত সে আপনাদের এক বড় সাংবাদিকের সোর্স। সে সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি ও চোরাচালান করছে।

গতকাল রাতে চাঁদা নিয়ে হাফিজ ও তার লোকজন সোর্স রফ মিয়াকে গণধৌলাই দিয়েছে। অন্যদিকে রাত ১১ টার সময় তাহিরপুর চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই কয়লা পাচারের সময় চাঁনপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার আব্দুস শহিদ অভিযান চালিয়ে ৩৫ বস্তা চোরাই কয়লা আটক করে।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুস শহিদ বলেন- গতকাল সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৫ বস্তা চোরাই কয়লা আমরা জব্দ করেছি। আমরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *