এম মাহমুদুল হাসান নিপুন:
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি। নড়াইলের ১২নং বিছালী ইউনিয়নে চলতি দূর্গা পুজা উপলক্ষে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব বি এম কবিরুল হক মুক্তির দেওয়া উপহার তুলে দিলেন ১২নং বিছালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ এর মনোনীত সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমান ফকির সিনিয়ার সহ সভাপতি,সদর থানা আওয়ামী লীগ ও সাবেক চেয়ারম্যান ১২ নং বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ নড়াইল সদর।
বিভিন্ন মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর৷ পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন শুরু হয়েছে। দেবী দুর্গাকে মা হিসেবে বরণ করে নেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। অন্য সব প্রত্যন্ত গ্রামের মতোই নিভৃত, নির্জন, কোলাহলহীন শান্ত বিছালী ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম এখন প্রান চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
গ্রামের পথে-প্রান্তরে, বাড়িতে-বাড়িতে সারা বছরের প্রতীক্ষা শেষে ঢাক বাজেছে,বাজছে ঢোলক,মন্দিরে বাজে ঘণ্টা। দেবী দুর্গার দর্শন পেতে ঢল নেমেছে ভক্তদের। এই শারদীয় সময়টিতে মিঠে-কড়া রোদ,রাতের কুয়াশা ভেজা বাতাসে তখন একটাই সুর মা দুর্গা এল,দুর্গা এল।
আর এ আনন্দকে আরো আনন্দময় করে তুলতে ১২ নং বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমান ফকির নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ইউনিয়নের সকল পুজা মন্দিরে,এসময় হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মত বিনিময় করছেন, সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন,তাদেরও হাতে তুলে দিচ্ছেন মাননীয় সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তির দেওয়া উপহার নগদ অর্থ।
এসময় এস এম আনিসুল ইসলাম বলেনঃ- আমি সম্পৃতিতে বিস্বাস করি। আমরা কে কোন ধর্মের,কে কোন গোত্রের,কে ধনী, কে গরিব এটা বড় কথা নয়। সব শেষে আমরা মানুষ। আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিৎ,আমাকে এক দিন মরে যেতে হবে। তখন হয়তে আমাকে কেউ মনে রাখবে না।
কিন্তু আমার ভালো কাজ পুরো পৃথিবী মনে রাখবে। তাই আমি আহবান করবো আমরা যেন,কারো নোংরা ফাঁদে পা দিয়ে হানাহানি মারা মারি না করি। ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে,দশ মায়ের দশ সন্তান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারি। আমরা যেন একে অপরের বিপদে আপদে পাশে দাড়ায়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ রিয়াজ আলী,মুন্সি ইমরান হোসেন, সম আল ফয়সাল, ডাঃ হামিদুর রহমান টিপু,আমিরুল ইসলাম, তপন কমার,আরমান শেখ প্রমুখ।