সুনামগঞ্জ থেকে আমির হোসেন
আমি আপনাদের সন্তান ও আপনাদের ভাই সুনামগঞ্জ – ১ আসনের আমিসহ রতন ও রঞ্জিতকে একত্রে দাড় করিয়ে দেখবেন,আপনারা সার্বিকভাবে চিন্তা করে বিচার বিশ্লেষণ করেন ভেবে দেখেন আমি যোগ্য না অযোগ্য,কোন দিক দিয়ে আমাকে অযোগ্য মনে হলে বলেন আমার কোনো আপত্তি নাই।
যদি আপনাদের বিচারে যোগ্য হই তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতীকে আপনাদের সন্তান আমাকে ভোট দিন। ৫ বছরের জন্য আমি আপনাদের সার্ভিক উন্নয়নের জিম্মাদার হিসাবে কাজ করতে চাই বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের আওয়ামীলীগ নেতা ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমেদ। তিনি বৃহস্পতিবার(০৪ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী ষেশ পতসভায় এই কথা গুলে বলেন।
নির্বাচনী পথসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্করের সভাপতিত্বে প্রার্থী সেলিম আহমেদ আরও বলেন, আমি এমপি হলে আমার নির্বাচনী এলাকার কোনো মসজিদ মাদ্রাসাসহ কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হবে না বলে আমি ওয়াদা দিচ্ছি । তিনি আরও বলেন,যদি আমি এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমাদের প্রকৃৃত নেতা মসজিদের ইমামদের কেও যাতে স্কুলের শিক্ষকগনের মত বেতন প্রনশন পান তার জন্য সংসদে আমি উত্থাপন করব।
তিনি বলেন,অদক্ষ নেতৃত্বকে সড়িয়ে দিয়ে দক্ষ,যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। যার মেধা,শিক্ষা,দক্ষতা, সততা,নিষ্টা আদর্শ দিয়ে এই অবহেলিত পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে কাজ করবে। মানুষের প্রতি যে তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সে লক্ষ্যেই কাজ করবে তাকে ভোট দেবার আহবান জানান তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন,আমি নির্বাচনে আশার পূর্বে কিন্তু চাঁদাবাজি শুরু হয়েছিল। মনোনয়ন পাওয়ার পরেই অনেকে ব্যবসায়ীদের কে ফোন করে করে চাঁদার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। তাদের কিছু সিন্ডিকেট ছিল তারা। যখন আমি নির্বাচনে আসলাম যখন শুনলো প্রতিরোধ গড়ে উঠবে, যখন বুজল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে তখনেই কান্না কাটি শুরু হল। আপনারা বুজেন না এই কান্নাকাটি দেখে নির্বাচন শুষ্ট ও নিরপেক্ষ হবে না হবে না।
নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেলিম আহমেদ। এসময় তিনি আরও জানান,আমাকে আটকাতে একটি অপশক্তি যারা যাদুকাটায় ড্রেজার চালায় অথবা যারা এই সিন্ডিকেট করে মানুষের অধিকার হরন করে লুটপাট করছে। তারা চাঁদ তুলে প্রটোনাইছ করছে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার চরিত হরন করার চেষ্টা করছে। আমি চেলেঞ্জ করে বলতে পারি একজন ১৫ বছর এমপি ছিলেন আরেক জন্য সিলেটে কিভাবে রাজনীতি করেন।
আমি দেখেছি এলাকার নেতা নামধারীরা আপনাদের মত সহজ সরল মানুষের মাথা বিক্রি করে নিজেদের আখের গোচাচ্ছে। তাই আমি নেতাদের বাদ দিয়ে আমি নিজে নিজেই আপনাদের পাশে যাচ্ছি কথা বলছি আমাকে আপনাদের চেনার সুযোগ দিচ্ছি। এসময় তিনি আরও বলেন,একজন এমপি তার সামান্য তম বরাদ্দ এই এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দ দিত তাহলে এভাবে মুখ থোবড়ে পরে থাকতে হত না।
মসজিদের ইমামের পিছনে মন্ত্রী এমপি রাজনীতিবিদ সবাই নামাজ পড়ি অথছ তাদের বেতন সামন্য,বাড়ি বাড়ি গিয়ে খেতে হয় আমাদের প্রকৃত নেতা এই ইমাম সাহেব গন। আমি এই অবহেলিত হাওরাঞ্চলে মানুষের পাশে সব সময় আছি এমপি পদপ্রার্থী হওয়ার আগেও ছিলাম এমপি না হলেও থাকব। আমার আয়ের একটি অংশ আমি দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় করেছি আর করব। আমার কোনো পিছু টান নেই।
আমি আপনাদের কথা বলতে, এলাকার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন,শিক্ষাসহ যুব সমাজের আশা আখাংকা পুরন করতে বেকারত্ব গোছাতে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে বলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আর পিছনে থাকাতে হবে না। নির্বাচনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়াসহ আওয়ামিলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারগন উপস্থিত ছিলেন।