তাড়াইলে নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিধবা ভাতার কার্ড বিক্রিও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

তাড়াইলে নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিধবা ভাতার কার্ড বিক্রিও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

জাতীয়

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলায় এক মহিলা ইউপি সদস্য অর্থের বিনিময়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ‘ভাতা কার্ড’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়ন পরিষদেরধ,১২,৩ মহিলা সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জাকিয়া সুলতানা র বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াইল উপজেলার ৩নং ধলা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী তিন মহিলা, সেকান্দর নগর এলাকার রেহেনা আক্তর পিতাঃ আঃ জব্বার যাহার বিধবা ভাতার বহির নং ৩১২৮ ওয়ার্ড নং ২ যা গত ২৭-২-২০২৩ তারিখে সমাজসেবা অফিস থেকে টাকা উত্তোলন করেন।

২ বিধবা বানেছা আক্তার পিতাঃ সামছুউদ্দিন গ্রামঃসেকান্দর নগর ওয়ার্ড নং ৩ ,তাহার বহির নং ৩০০২ একই তারিখে নয় হাজার টাকা উত্তোলন করেন।(৩) হালিমা খাতুন পিতাঃজনব আলী ,তার বহির নং২৯৯০ ঐ তারিখেঃ সমাজসেবা অফিস কর্তৃক প্রতম টাকা বিধবা ভাতার নয় হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

সেকান্দর নগর গ্রামের তিন জন বিধবা মহিলার কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা বড় অফিস কর্মকর্তাকে দিতে হবে বলে নিজেই ভাতা উত্তোলনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধলা ইউনিয়নের ১, ২ ৩,নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য জাকিয়া সুলতানা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ‘ভাতা কার্ড’ করে দেন। তবে অনেকেই চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদত্ত ভাতার কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

উপকারভোগীদের কার্ড থেকে উত্তোলন কৃত নয় হাজার ভাতার টাকা ,উপকারভোগী পাওয়ার কথা থাকলেও ,ইউপি সদস্য জাকিয়া সুলতানা নিজে সাত হাজার টাকা গ্রহন করে, এবং বাকি দুই হাজার টাকা ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দিয়ে হোটেলে রুটি খাওয়াইয়া বিদায় করতে চইলে ওই তিন জন বিধবা মহিলা রুটি না খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে রাতের অন্ধকারে বাড়ীতে গেল।

কখনো অগ্রিম টাকা, কখনো বা ভাতার টাকার একটি অংশ দিতে বাধ্য করেন ওই ইউপি সদস্য। আবার, টাকা দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানালে হেনস্তার শিকার কিংবা কার্ড বাতিলের হুমকিও দেন তিনি। ওই ভুক্তভোগী তিন মহিলা সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতার টাকা পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরকারি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তিন জনের কাছ থেকে মোট ২১ হাজার টাকা বিভিন্ন অফিস উপরস্হ কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হবে এই কথা বলে ২১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ইউপি সদস্য জাকিয়া সুলতানা তার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার প্রত্যাশা করেন ভুক্তভোগী তিন মহিলা‌। এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাকিয়া সুলতানা ইউপি সদস্য তিনি বলেন,, যে আমার উপরে ষড়যন্ত্র করছে আসলে এটা মূলত কোন কিছুই না তাদেরকে আমি সহযোগিতা করেছি এটা কিছু মানুষের সহ্য হচ্ছেনা না ।তাই আমার নামে বদনাম রটানো হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *