টঙ্গী কেরাণীরটেক বস্তির মাদক সম্রাঞ্জী রুনা,কারিমার খুঁটির জুর কোথায়? (পর্ব -০১)

জাতীয় স্পটলাইট

মোঃ নুরুজ্জামান শেখ গাজীপুরঃ

গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৬নং ওয়ার্ড হিমারদিঘী কেরানিরটেক বস্তির মাদক সম্রাঞ্জী রুনা কারিমা। কে এই মাদক সম্রাঞ্জী রুনা, কারিমা ? এক সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতেন কারিমা, বড় ভাই মনির আমতলীর মোড়ে ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ভাংগারীর দোকান করতেন, বাবা কাদির মিয়া ঢাকায় রিক্সা চালাতেন, রুনার স্বামী সুমন মিয়া গোপনে শুরু করে টুকটাক ফেনসিডিল ব্যবসা সে থেকেই তাদের ওথান।

এখন শুধু রুনা, কারিমা নয় তার আপন বড় ভাই মনির হোসেন, আমির হোসেন, দুই ভাইয়ের বউ, বাবা আঃ কাদির মিয়া রুনার স্বামী সুমন সহ পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তিতে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় যে, এই বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীগণ একই পরিবারের সদস্য। এরা টঙ্গীতে বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত এবং মাদকের গড ফাদার হিসাবেও খুব পরিচিত। রুনা ও কারিমার নেতৃত্বে রয়েছেন একাধিক মাদক বিক্রেতা, আরো জানা যায় যে কারিমা, রুনা, কাদির এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজা খুচরা বিক্রি করে থাকে।

ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অন্তত পাঁচটি বাড়ি এবং নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। টঙ্গী বিসিক সোনালী ব্যাংকে প্রায় এক কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে বৈধ কোন আয়ের উৎস না দেখাতে পারায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু ব্যক্তি সাংবাদিকদের কে জানান রুনা কারিমা ও মনিরের নামে বেনামে রয়েছে হোটেল ও ইজ্জতপুরে কয়েক বিঘা সম্পত্তি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গেলে মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা, রুনা ও কাদির, মনির মনিরের বউ মর্জিনা সাংবাদিককে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার পরিচয় চলে তাদের এই মাদক ব্যবসা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, কথিত কয়েকজন সাংবাদিক এর শেল্টারে চলে এই মাদক ব্যবসা। মাদক বিক্রেতার ছবি তুললে স্থানীয় জন প্রতিনিধির কাছে বিচার দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে।

গত ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে টঙ্গী থেকে মাদক সম্রাঞ্জী রুনা ও কারিমার বড় ভাই আমির হোসেনকে ৪৯.৯ কেজি গাঁজা সহ র‍্যাব- ১ এর হাতে আটক হন। গত ১৫ই জুন ২০২৪ এ গাড়ীর ড্রাইভার রিদয় কে টঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য চাপাতি দিয়ে কোপানো হয় এ নিয়ে টঙ্গী থানায় মামলা হলে রুনা ছেলে রিফাত সহ ৩জন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বাকিরা আগাম জামিন নেন।

এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি মাদক সম্রাঞ্জী রুনা ও কারিমার পরিবার টঙ্গীতে সব থেকে বেশি মাদক ক্রয় বিক্রয় করছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করে আসছে। প্রশাসনে নিকট জোর দাবি রুনা ও কারিমার পরিবার ও তাদের শেল্টার দাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের প্রতিনিধি বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তাদের সাথে কথা বলা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *