আমির হোসেন, সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর বালু মহাল ও টুলটেক্সের নামে নৌকা থেকে চাঁদাবাজি,ড্রেজার বন্ধে ও আনোয়ারপুর ব্রীজ রক্ষায় ছাত্র জনতার সমাবেশ। সোমবার (১২ই আগষ্ট)বিকাল ৪ টার দিকে আনোয়ারপুর বাজারে প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেছেন বালি-পাথর শ্রমিক,ছাত্র জনতা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যদেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আনিসুল হক,ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী,সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহঃ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জল,উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি ফেরদৌস আলম,বালিজুরী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাখাওয়াত হাসান।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবুল হাসনাত রাহুল,আজিজুর রহমান কাওসার,আনিসুর রহমান সাকিব,জাহিদ হাসান,তন্ময় রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক সামরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক তুজাম্মেল হক নাছরুম,তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিক,যুবদল নেতা আল আমিন,উপজেলা কৃষকদল যুগ্ম-আহবায়ক তামিম হাসান লিংকন,উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক আবু হাসান রাসেল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মুন্না,যুগ্ম আহাব্বায়ক,আবির হাসান সোহেল,রাহাত হাসান রাব্বি,ছাত্রদল নেতা জানে আলম আবির প্রমুখ।
বক্তারা বক্তব্য বলেন, যাদুকাটা নদীর বালি মিশ্রিত পাথর কয়লা সম্পদ মাটি বাল ইজারার নামে এবং বেআইনি নৌকাঘাট ইজরার নামে একটি দুষ্ট চক্র রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হরিলুট করে নিচ্ছে। দেশের মুল্যবান সম্পদ লুটসহ পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতি করছে, শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী জলুমের শিকার হচ্ছে,বিগত আওয়ামিলীগ সরকার খনিজ সম্পদ বালু পাথর সমৃদ্ধ যাদুকাটা নদী কিছু অংশকে বেআইনি ভাবে মাটি বালু আইন ২০১০ / ১১ প্রয়োগ করে ইজারা দেয় এতে শুধু মাটি বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও ইজারাদাগন বেআইনি ভাবে বালু ও মিশ্রিত পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে উচ্চ হারে রয়েলেটি আদার করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইজারাকৃত এলাকার বাহিরে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের গেজেট ভুক্ত এলাকায় বালি মিশ্রিত পাথর উত্তোলন করছে।
নদীর পাড় কেটে হাট বাজার গ্রাম ধংশ করা হচ্ছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর ড্রেজারের মাধ্যমে বালি পাথর উত্তোলন হয়। সরকার নির্ধারিত রয়েলিটি আদায়ের তিন গুন বেশি জুলুম করে আদায় করা হয়। ফাজিলপুর ও ঘাগড়া নদীর পাড়ে নৌকা বিড়াইয়া কোনো প্রকার মালামাল উঠানামা হয় না।
এই কতিত দুটি নৌকা ঘাটে টুল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি। বালু মহাল ও নৌকা ঘাটের ইজারাদারগন চুক্তি পত্রের ভংঙ্গের দায়ে অভিলম্বে তাদের ইজারা বাতিক করার দাবী। সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কে আনোয়ারপুর ব্রীজটি ধংশ হতে রক্ষার স্বার্থে ভাল্কহেড নৌযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।