স্টাফ রিপোর্ট:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আরেক আ’লীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন।
তাকে দায়িত্ব দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যাপক ভাবে দৌড়ঝাঁপ করছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ইউনিয়নবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ৫ আগষ্ট বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে তার অনুসারীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ও হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করছে যুবদল নেতা মুনসুর রহমানসহ কয়েকজন।
ওই দিন হামিরকুৎসা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন এবং শতাধিক আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় অংশ গ্রহন করে। ওই ঘটনায় যুবদল নেতা মুনসুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আন্দোলনে আ’লীগের পতনের পর বাগমারায় আ’লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানরা গা ঢাকা দিলেও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় আনোয়ার চেয়ারম্যান বহাল তবিয়তে ইউপি কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার হয়।
এছাড়াও আরেকটি মামলায় সে জামিন নেয়। এদিকে আনোয়ার হোসেন এর ঘনিষ্ট স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাজমুল হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে বসাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে স্থানীয় বিএনপি কিছু পোষ্ট ধারী স্বার্থলোভী নেতারা। ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন কে মাঠে নামিয়েছেন নাজমুল মেম্বরের পক্ষে।
ইতিমধ্যে সেই নেতা গুলো বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির সক্রিয় দুইজন সদস্য থাকলেও তাদের উপেক্ষা করে আ’লীগ নেতা নাজমুলের পক্ষে তারা কাজ করায় ইউনিয়নবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত দশজন নেতাকর্মী জানান, বিএনপি নেতা হয়ে আ’লীগের মেম্বরের পক্ষ নেয়া খুবই দুঃখজনক। যারা এখনো এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।