স্টাফ রিপোর্টার:
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাঁদাদাবীর প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও অভিনয় শিল্পী সমিতির সদস্য এবং শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত গ্রামের সোবহানের ছেলে এমরান হাশো ও তার পরিবারের উপর হামলা ও মারপিট করে ৫ জনকে আহত করেছেন এই মর্মে এমরান হোসেন বাদী হয়ে আমন্ত গ্রামের মোঃ আবু এর ছেলে মজিদুল ইসলাম( ৩৮), মৃত নবীজ উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে হেলাল(৪৫), মজিদুলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম(২৩) ( কারাম) আকবর আলীর ছেলে আল আমিন(২৫), জাহিদুলের ছেলে কাউছার আলী (২৮) এই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/ ২০ জনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমন্ত গ্রামের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার সবিউর রহমানের নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন, টাকা না দিলে তার মোটরসাইকেল পুড়ে দিতে চায়,এমরানের প্রতিবেশী মজিদুল ইসলাম ও তার লোকজন৷ এ বিষয়ে ডাক্তারেন সাথে বাকবিতন্ডা হলে ওই ডাক্তার এমরানের পিতা সোবহান কে ডাকেন। এমরানের পিতা সোবহান হোসেন মজিদুল ইসলাম কে এসব বিষয়ে গোন্ডগোল করতে নিষেধ করেন৷ বলেন যে, এখানে গ্রামের মানুষ চিকিৎসা হয় ও ঔষুধ পায়। মানুষের উপকার হয়।
তাকে চাঁদা নিতে নিষেধ করেন৷ বিবাদীগনরা গত ১৭ অক্টোবর রাত অনুমান ০৮:০০ ঘটিকার সময় শিহাড়া স্কুল মাঠে সোবহান কে দেখতে পেয়ে তার জামার কলার ধরে টানাটানি করে লাথি গুড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন৷
শুক্রবার ১৮ অক্টোবর অনুমান সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে বিবাদীরা আবারো এমরানের পিতা সোবহানকে মোবাইল করে আমন্ত বাজারে আসতে বলেন পরবর্তীতে এমরানের পিতা বাজারে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এমত অবস্থায় এমরান জানতে পরে সেখানে গিয়ে তার বাবাকে নিয়ে চলে আসেন পরে বিবাদীগন তার চাচা মোঃ শাহজাহান(৩২)কে একা পেয়ে বাঁশের লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এলাপাথারী ভাবে মারপিট করতে থাকে।
পরবর্তীতে এমরান বিষয়টি লোক মারফত জানতে পেরে বিবাদীগনদের কাছে গিয়ে তার চাচাকে রক্ষা করলে বিবাদীগনরা তাদেরকে বাশের লাঠিসোটা সহ লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে লাগে।তারা প্রাণ ভয়ে চিৎকার করতে লাগলে বিবাদীগনের হাতে ধারালো হাসুয়া নিয়ে এমরানদের কে মেরে ফেলার জন্য তেড়ে আসে।
০৩নং বিবাদী এমরানের খালা মোছাঃ সেলিনা খাতুন (৩০), এর মাথায় ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বজোরে আঘাত করলে তার খালার মাথা ফেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
পরবর্তীতে ৩নং বিবাদী আবারো এমরানের মা রেহেনা খাতুন (৪০), এর ঘাড়ে বাশের লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করিলে তার মায়ের ঘাড় ফেটে গুরুত্বর জখম হয়। পরে বিবাদীরা এমরান এবং তার ফুফাতো ভাইকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে।
পরবর্তীতে তারা জোরে জোরে ডাকচিৎতকার করতে লাগলে তাদের ডাক চিৎকার শুনে একই গ্রামের রাশেল, মাহবুর, হাসিনা সহ আরো লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে রক্ষা করে।
পরবর্তীতে বিবাদীগণরা তাদেরকে মারপিট সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। পরে স্থানীয়রা ইমরান সহ তার পরিবারের আহতদেরকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এমরান হোসেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার চান তিনি। দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাঁদা দাবী ও মারাপিট বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী মজিদুলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন আমরা কারো কাছে চাঁদা দাবী করিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারাই আমাদের কে মারপিট করেছেন।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান বলেন,, থানায় লিখত অভিযোগ হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।